logo
আপডেট : 5 June, 2019 23:39
অস্ট্রেলিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের প্রধান কার্যালয়ে পুলিশের অভিযান
মেইল রিপোর্ট

অস্ট্রেলিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের প্রধান কার্যালয়ে পুলিশের অভিযান

অস্ট্রেলিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন এবিসি’র প্রধান কার্যালয়ে অস্ট্রেলিয়ান ফেডারেল পুলিশের সঙ্গে কথা বলছেন গণমাধ্যমটির আইনজীবীরা।

অস্ট্রেলিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেল অস্ট্রেলিয়ান ব্রডকাস্টিং করপোরেশনের (এবিসি) প্রধান কার্যালয়ে অভিযান চালিয়েছে দেশটির ফেডারেল পুলিশ। এই ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তারের খবর পাওয়া যায়নি।

বুধবার এই অভিযানের কথা জানায় ডয়চে ভেলে। অভিযানের বিষয়টিকে সহজভাবে দেখছে না চ্যানেল কর্তৃপক্ষ। তারা বলছে, এভাবে একটি সংবাদমাধ্যমের কার্যালয়ে পুলিশের অভিযান ‘অগ্রহণযোগ্য।

বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, টেলিভিশনটি ২০১৭ সালে আফগানিস্তানে অস্ট্রেলিয়ার নিরাপত্তারক্ষীদের যুদ্ধাপরাধের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করে।

টেলিভিশনটি এই প্রতিবেদনে মূলত দেশটির সেনাবাহিনী থেকে পাওয়া তথ্য ব্যবহার করে। প্রতিবেদনটির প্রেক্ষিতে দেশটির ফেডারেল পুলিশ বুধবার টেলিভিশন চ্যানেলটিতে অভিযান চালায়।

এবিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডেভিড অ্যান্ডারসন  বলেন, দেশের জাতীয় নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষার বিষয়ে জনগণের কাছে জবাবদিহিতার বিষয়টিকে উদ্বেগের মধ্যে ফেলে দিয়েছে এই অভিযান।

এর আগে গত মঙ্গলবার, দেশটির ট্যাবলয়েড সংবাদপত্র সানডে টেলিগ্রাফের প্রতিনিধি আনিকা স্মেথুরস্টের ক্যানবেরার বাসায় অভিযান চালায় অস্ট্রেলিয়ান ফেডারেল পুলিশ।

আনিকা ২০১৮ সালে সানডে টেলিগ্রাফে দেশটির জনগণের ওপর সাইবার গোয়েন্দা সংস্থার ক্ষমতা বাড়ানোর প্রস্তাবনা নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেন। এতে কিছু গোপন নথিপত্রের ছবিও ছিল।

পুলিশের এই ধরনের অভিযানকে স্বাধীন সাংবাদিকতার ওপর আঘাত হিসেবে দেখছে দেশটির শ্রমকল্যাণ সমিতি এবং পেশাদারী সংস্থা মিডিয়া, এন্টারটেইনমেন্ট অ্যান্ড আর্টস অ্যালায়েন্স।

সংস্থাটি জানায়, সাংবাদিকদের বাসায় ও কার্যালয়ে অভিযানের বিষয়টি সাধারণ ঘটনায় পরিণত হয়েছে। মনে হচ্ছে কেউ সত্য প্রকাশ করে সরকারকে বিব্রত করলে পুলিশ এসে তার দরজায় কড়া নাড়বে।

এদিকে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের কার্যালয়ে অভিযানের ঘটনাটি ‘পুলিশের বিষয়’ বলে উল্লেখ করে এই বিষয়ে বিশেষ কিছু বলেননি।