logo
আপডেট : 8 June, 2019 02:14
নিউইয়র্কে গ্রেনেড হামলার পরিকল্পনা: বাংলাদেশি তরুণ গ্রেফতার

নিউইয়র্কে গ্রেনেড হামলার পরিকল্পনা: বাংলাদেশি তরুণ গ্রেফতার

আশিকুরের ফেসবুক থেকে নেয়া এই ছবি ছাপা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদ মাধ্যমে

ষ্টাফ রিপোর্টার: নিউইয়র্কের টাইমস স্কয়ারে গ্রেনেড হামলার পরিকল্পনার অভিযোগে বাংলাদেশি এক তরুণকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।বৃহস্পতিবার রাতে ওই তরুণকে আটক করা হয়েছে বলে নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
 
আশিকুল আলম (২২) নামের এই তরুণ নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসে বসবাস করেন। সে যুক্তরাষ্ট্রের গ্রিনকার্ডধারী। শুক্রবার বিকেলে আশিকুলকে ব্রুকলিনের ফেডারেল ডিস্ট্রিক্ট আদালতে হাজির করা হয়। 
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এক কর্মকর্তা জানান, আশিকুল আলমের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস-সম্পর্কিত অপরাধের কোনো অভিযোগ আনা হচ্ছে না। তিনি আরও জানান, গ্রেনেড বা কোনো বিস্ফোরক যন্ত্র নয়, একটি অস্ত্র কেনার পর তাকে গ্রেফতার করা হয়।
 
বেশ কিছু সময় ধরেই আশিকুল আলম নজরদারির মধ্যে ছিল জানিয়ে আরেক কর্মকর্তা বলেন, গ্রেনেড হামলা বিষয়ে আশিকুল আলমের কথাবার্তা সম্পর্কে জানতে পেরে কর্তৃপক্ষ একজন এজেন্ট নিয়োগ দেয় এফবিআই।ওই গোয়েন্দার সঙ্গে আগ্নেয়াস্ত্র কেনার বিষয়ে আলোচনা করেন আশিকুল। সিরিয়াল নম্বর নষ্ট করা আগ্নেয়াস্ত্র কিনতে চান তিনি। সেই মোতাবেক আগ্নেয়াস্ত্র সরবরাহ করা হয়েছিল তাকে। এরপর এফবিআই এজেন্ট ও নিউ ইয়র্ক পুলিশ বিভাগের গোয়েন্দাদের সমন্বয়ে গঠিত জয়েন্ট টেররিজম টাস্ক ফোর্সের সদস্যরা তাকে গ্রেপ্তার করে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে পুলিশের এক কর্মকর্তা নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগের সম্পৃক্ততা নিশ্চিত করলেও এফবিআই এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।

শুক্রবার ব্রুকলিন ফেডারেল কোর্টে আশিকুলের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগে বলা হয়েছে, ছদ্মবেশী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের কাছ থেকে বৃহস্পতিবার সিরিয়াল নম্বর মুছে ফেলা দুটি গ্লক ১৯ নাইন এমএম সেমি-অটোমেটিক পিস্তল নেওয়ার পর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ছদ্মবেশী এফবিআই এজেন্টের সঙ্গে আলোচনায় আশিকুল নিউ ইয়র্কে ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বরের হামলা এবং জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের প্রতি সমর্থন জানান। বিস্ফোরক ভেস্ট ব্যবহার করে হামলা চালানোর বিষয়েও আলোচনা করেন তিনি।

“টাইমস স্কয়ারে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তা ও বেসামরিকদের হত্যার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে আশিকুল আলম অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র কিনেছেন বলে অভিযোগে বলা হয়েছে,” বলা হয়েছে ইউএস অ্যাটর্নির দপ্তরের বিবৃতিতে।

রয়টার্স লিখেছে, ২০১০ সালে একটি গাড়ি থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখে এক পথচারী পুলিশে খবর দিলে টাইমস স্কয়ারে গাড়িবোমা হামলার একটি চেষ্টা নস্যাৎ হয়।