
লেবানন ও ইসরাইলের মধ্যে সীমান্ত দ্বন্দ্ব চলছে বহু আগে থেকেই। এবার সীমান্তে আতঙ্ক ছড়াতে লেবাননের গ্রাম দখলের মহড়া দিয়েছে ইহুদিবাদী ইসরাইল। যদিও ইসরাইল কর্তৃপক্ষের দাবি নিজস্ব প্রশিক্ষণ একাডেমিতেই মহড়া চালিয়েছে তারা।
ইসরাইলি টিভি চ্যানেল-১২ এর খবরে বলা হয়, লেবানন সীমান্তে চালানো সামরিক মহড়ায় ইহুদিবাদী রাষ্ট্রটি ব্যাপক অস্ত্রের মহড়া দেখায়। ইসরাইলি বাহিনীর পদাতিক, সাজোয়া ইউনিট, বিমান বাহিনী ও গোয়েন্দা বিভাগ এতে অংশ নিয়েছে। মহড়ায় ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ বিভাগ এবং টানেল ও বাঙ্কারে যুদ্ধের ইউনিটও যোগ দেয়।
ইসরাইলি সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষণ তত্ত্বাবধানকারী কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট জেনারেল বেনি আশারন বলেছেন, শত্রুকে পরাজিত করতে ভূমিকা রাখে এমন এলাকাগুলোই আমাদের টার্গেটে রয়েছে। আগামীতে যুদ্ধ হলে আমরা লেবাননের সব গ্রামে ঢুকব না। নির্দিষ্ট এসব এলাকা লক্ষ্য করেই মহড়া চালানো হয়েছে।
এর আগে লেবাননভিত্তিক হিজবুল্লাহ আন্দোলনের প্রধান হাসান নাসরুল্লাহ বলেছেন, ইসরাইলের জলির অঞ্চলে ঢুকে ইহুদি বাহিনীকে ধ্বংস করে দেয়ার সক্ষমতা হিজবুল্লাহর রয়েছে।
তিনি বলেন,যদি ইসরাইলি সেনাবাহিনী লেবাননে হামলা চালায়, তবে তারা জলিরে ঢুকে তাদের ধ্বংস করে দিতে পারবে।
হিজবুল্লাহ ইসরাইলি ভূখণ্ডে ঢুকে যেতে সক্ষম বলেও জানান নাসরুল্লাহ।