logo
আপডেট : 11 June, 2019 01:35
পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট জারদারি গ্রেপ্তার
মেইল রিপোর্ট

পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট জারদারি গ্রেপ্তার

পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারিকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির দুর্নীতি বিরোধী সংস্থা ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টিবিলিটি ব্যুরো। অর্থপাচার মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হলো।

সোমবার (১০ জুন) ইসলামাবাদে জারদারির বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

গ্রেপ্তারের সময় জারদারির ছেলে বিলওয়াল ভুট্টো ও মেয়ে আসিফা ভুট্টো উপস্থিত ছিলেন। এ সময় কয়েকশো নেতাকর্মী জারদারিকে বহন করা গাড়ি ঘিরে স্লোগান দেয়।

গ্রেপ্তারের কয়েক ঘণ্টা আগে জারদারি ও তার বোন ফারইয়াল তালপুরের জামিনের মেয়াদ বাড়ানোর অনুরোধ বাতিল করে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট।

হাইকোর্টের এই পদক্ষেপের পর আসিফ আলি জারদারি ও তার বোনকে গ্রেপ্তারের পথ সহজ হয়ে যায়। যদিও জারদারির বোন ফারইয়াল তালপুরকে গ্রেপ্তার করেনি দুর্নীতি-বিরোধী সংস্থাটি। এজন্য তারা কোনও ব্যাখ্যাও দেয়নি।

আসিফ আলী জারদারি বর্তমানে পাকিস্তান সংসদের নিম্নকক্ষের একজন আইন প্রণেতা। তার বোনও রাজনীতির সঙ্গে জড়িত যার বিরুদ্ধে কয়েক ডজন ভুয়া ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থাকার অভিযোগ উঠেছে। এর আগে গত সোমবার কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে এই দুজন এক শুনানিতে অংশ নেয়।


জারদারি গ্রেপ্তারির ঘটনায় উত্তাল পাকিস্তান সংসদ মূলতবি
সাবেক প্রেসিডেন্ট জারদারির গ্রেপ্তারের ঘটনায় পাকিস্তানের সংসদে তুমুল হট্টগোল হয়েছে।

সোমবার সংসদের অধিবেশনে পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টোকে সুযোগ না দিয়ে রেলমন্ত্রী শেখ রশিদকে মাইক দেয়ায় সংসদে ব্যাপক বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন পিপলস পার্টির সংসদ সদস্যরা। 

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে অবশেষে মঙ্গলবার পর্যন্ত অধিবেশন মুলতবি ঘোষণা করেন স্পিকার।

পিতার গ্রেপ্তারের পর পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো সংসদে প্রবেশ করলে পিপলস পার্টির সংসদ সদস্যরা টেবিল চাপড়িয়ে তাকে স্বাগত জানান।

স্পিকার আসাদ কায়সারের সভাপতিত্বে অধিবেশন শুরু হলে বিরোধী সংসদ সদস্যরা বিলওয়ালকে বক্তব্য দেয়ার অনুরোধ করেন। এরমধ্যে স্পীকার কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী শেখ রশিদের নাম ঘোষণা করেন।

বিক্ষুদ্ধ পিপলস পার্টির সদস্যরা এ সময় স্পিকারের আসনের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। জারদারির মুক্তি চেয়ে এ সময় স্লোগান দিতে থাকেন তারা। পিপলস পার্টির সদস্যদের বিক্ষোভে সংসদজুড়ে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে স্পিকার সংসদ অধিবেশন মুলতবি ঘোষণা করেন।

সংসদ থেকে বের হয়ে পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো সাংবাদিকদের বলেন, সংসদ অধিবেশনে আমার কণ্ঠকে থামিয়ে দেয়ার চেষ্টা চলছে।