ভারতের জম্মু ও কাশ্মীরের কাঠুয়ায় আট বছর বয়সী শিশু আসিফাকে গণধর্ষণ ও হত্যা মামলায় ছয়জন দোষী সাব্যস্ত হয়েছে। ওই মামলার সাত আসামীর মধ্যে অপরজনকে খালাস দিয়েছে আদালত। তবে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের সাজার মাত্রা এখনও ঘোষণা করেননি আদালত।
এর আগে গত ৩ জুন এই মামলার ক্যামেরা ট্রায়াল শেষ হয়। এরপর পাঞ্জাবের পাঠানকোটের জেলা ও সেশন জজ তেজবিন্দর সিংয়ের বিশেষ আদালত এই রায় দেন।
মামলার অভিযোগপত্রে জানা যায়, গত বছরের ১০ জানুয়ারি মুসলিম যাবাবর গোষ্ঠীর আট বছর বয়সী শিশু আসিফাকে অপহরণ করা হয়। পরে তাকে কাঠুয়া জেলার একটি মন্দিরে আটকে রাখা হয়। সেখানে তাকে নেশার দ্রব্য দেয়া হতো এবং না খাইয়ে রাখার পাশাপাশি দিনের পর দিন ধর্ষণ করা হয়।
শেষপর্যন্ত ওই শিশুকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয় এবং পাথর দিয়ে তার মাথা থেতলে দেয়া হয়। পরে ১৭ জানুয়ারি একটি জঙ্গল থেকে ওই শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এর তিনদিন পর এ মামলার অন্যতম একজন আসামীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
একজন সাব-ইন্সপেক্টর ও একজন হেড কন্সটেবলকে মামলার প্রমাণাদি নষ্ট করার সময় গ্রেপ্তার করার পর মামলাটি ক্রাইম ব্রাঞ্চের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ওই অঞ্চল থেকে যাযাবর এই জনগোষ্ঠী ভয় দেখিয়ে তাড়িয়ে দিতেই আসামীরা এই গণধর্ষণ ও হত্যার ঘটনা ঘটায় বলে ক্রাইম ব্রাঞ্চের তদন্তে উঠে আসে।
এদিকে কাঠুয়া কোটের কারণে মামলা অভিযোগ গঠনে ক্রাইম ব্রাঞ্চ বাধা পাওয়ার পর সুপ্রিম কোর্ট ওই মামলাটি স্থানান্তর করে।