ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি একই সম্মেলনে গিয়েও একাধিকবার ইমরান খানকে এড়িয়ে গিয়েছেন। অবশেষে দেখা হল তাদের।
কিরগিজস্তানের রাজধানী বিশকেকে সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন বা এসসিও সামিটের দ্বিতীয় দিনে প্রথম মুখোমুখি হলেন ভারত ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। সৌজন্য সাক্ষাৎ হলো মোদি ও ইমরানের। এরপর সৌজন্য বিনিময়ের পর দুই প্রধানমন্ত্রী নিজেদের দেশ নিয়ে আলোচনা করেন লিডার লাউঞ্জে বসে।
নয়াদিল্লি বরাবরই বলে এসেছে যে সন্ত্রাস আর আলোচনা একইসঙ্গে চলতে পারে না। সেই অবস্থানেই অনড় থাকলেন মোদি। বিশকেকে এসসিও সম্মেলনে গিয়েও ইমরানের সঙ্গে কোনও বৈঠক করলেন না তিনি।
নয়াদিল্লির তরফে আগেই নাকচ করে দেওয়া হয়েছিল বৈঠকের প্রস্তাব৷ যদিও তারপরও হাল ছাড়েনি ইসলামাবাদ৷ অনেকটা আগ বাড়িয়েই দেওয়া হয় আলোচনার প্রস্তাব।
পাক সংবাদ মাধ্যমের রিপোর্ট অনুযযায়ী, ইমরান খান চিঠিতেও আলোচনার মধ্যে দিয়ে কাশ্মীর সমস্যা মেটেনোর কথা বলেন। দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি ও উন্নয়নের লক্ষ্যে ভার-পাক একযোগে কাজ করা উচিত বলেও মনে করেন ইমরান। তাই আলোচনার এই প্রস্তাব৷ কিন্তু তাতেও সাড়া দেয়নি ভারত।
সাংহাই কো অপারেশন অর্গানাইজেশনের শীর্ষ বৈঠকের ফাঁকে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের দেখা হয় মোদির। এসময় মোদি চীনারপ্রেসিডেন্টকে বলেন, ‘সন্ত্রাসমুক্ত এক পরিমণ্ডল তৈরি করা প্রয়োজন পাকিস্তানের। কিন্তু এই মুহূর্তে তেমন কিছু ঘটতে দেখছি না। আমরা আশাবাদী ইসলামাবাদ কড়া ব্যবস্থা নেবে।
গত বছর ওয়াহানে দেখা হয়েছিল মোদি ও জিনপিংয়ের। ওই বৈঠক সফল হয়েছিল। তখনই মোদি তাকে ভারতে সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। সম্প্রতি জিনপিংয়ের জানিয়েছেন এই বছরের শেষ দিকেই ভারতে আসবেন তিনি।