অস্ট্রেলিয়ার কাছে আমরা হেরে গেলাম। মনটা ভালো নেই। ভাবলাম ইউটিউবে নাটক দেখি। মনটাও ভালো হবে। তাছাড়া অনেক দিন আমাদের নাটক দেখা হয়নি।
পর পর তিনটা নাটক দেখলাম। এখন নাটক দেখা অনেক সহজ। ৩৫ মিনিট কিংবা ৪০ মিনিট ব্যাপ্তি। অল্পের মধ্যেই ঘটনাগুলো শেষ হয়। ব্যস্ত সময়ে সবার জন্যই খুব ভালো বিনোদন মাধ্যম।
কিন্তু সমস্যা মনে হলো অন্য জায়গায়। প্রতিটা নাটকে একই অবস্থা- প্রেম, প্রেম আর প্রেম। এই প্রেম আবার পরিবারের প্রতি না, বন্ধুদের প্রতি না, সমাজের প্রতি না, কোন দায়িত্বের প্রতি না। শুধু তরুণ-তরুণীর প্রেম। যেন তরুণ-তরুণীদের আর কোন কাজ নাই।
ক্যামেরা, লোকেশন, গ্ল্যামারসহ অনেক কিছুতেই আমরা উন্নতি করলেও নাটকের ঘটনাগুলো মনে হচ্ছে সেই একই জায়গায় ঘুরপাক খাচ্ছে। এখানে পরিবর্তন দরকার। কারণ আমরা যা দেখি, সেটার প্রয়োগ অনেকেই নিজের মধ্যে করে থাকি।
তোমাকে না পেলে আমি বাঁচবো না, জীবন থেমে যাবে, এগুলো সম্পূর্ণ অর্থহীন কথা। জীবন কারো জন্য থেমে থাকে না। থামিয়ে রাখাও উচিত না। জীবনের চেয়ে মূল্যবান আর কিছুই নেই। জীবনের জন্যই সব। জীবন আছে বলেই প্রেম, অভিমান, স্বপ্ন, দুঃখ, আকাঙ্খা সবকিছু আছে।
তুমি চলে গেলেও আমি ভালো থাকব কিংবা তুমি চলে গেলেও আমি ঐ অসাধ্য সাধন করতে পারবো, এগুলোও নাটকে দেখানো উচিত। তাহলে আমাদের তরুণ-তরুণীদের মাঝেও এক ধরণের ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে।
লেখক: উপ-পরিচালক, বাংলদেশ ব্যাংক।