জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান (জাপা) এবং সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। রোববার সকাল ৭টা ৪৫ মিনিটে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার বয়স হয়েছিল ৮৯ বছর।
রক্তে হিমোগ্লোবিন ও লিভারে দীর্ঘদিনের সমস্যার পাশাপাশি নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ২৬ জুন সিএমএইচ-এ ভর্তি হন এরশাদ। সেখানে তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল।
এর আগে উন্নত চিকিৎসার জন্য এরশাদকে দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়া হবে কি না?— সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেছিলেন, ‘তার যে শারীরিক অবস্থা, তাতে এখনই বিদেশে নেওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি।’
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে অসুস্থ হয়ে পড়েন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। উন্নত চিকিৎসার জন্য গত বছর ১২ ডিসেম্বর সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয় তাকে। ফলে জাতীয় নির্বাচনের প্রচারে অংশ নিতে পারেননি তিনি। নির্বাচনে জয়লাভের পর দেশে ফিরে শপথ নেন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ এবং একাদশ জাতীয় সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা নির্বাচিত হন। এরপর স্বাস্থ্যের অবনতি হলে গত ২০ জানুয়ারি ফের চিকিৎসা নিতে সিঙ্গাপুর যান তিনি। দেশে ফেরেন ৪ ফেব্রুয়ারি। এরপর থেকে সিএমএইচেই চিকিৎসা নিচ্ছিলেন এরশাদ।
১৯৩০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি রংপুর জেলায় দিনহাটায় জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৫০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৫২ সালে তিনি পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে কমিশন লাভ করেন। ১৯৬০ - ১৯৬২ সালে তিনি চট্টগ্রাম ইষ্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের কেন্দ্রে অ্যাডজুট্যান্ট হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ১৯৬৬ সালে তিনি কোয়েটার স্টাফ কলেজ থেকে স্টাফ কোর্স সম্পন্ন করেন। ১৯৬৮ সালে তিনি শিয়ালকোটে ৫৪ ব্রিগেডের মেজর ছিলেন। ১৯৬৯ সালে লেফটেন্যান্ট কর্নেল হিসেবে পদোন্নতি লাভের পর ১৯৬৯-১৯৭০ সালে ৩য় ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট-এর অধিনায়ক ও ১৯৭১ - ১৯৭২ সালে ৭ম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট এর অধিনায়ক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।