‘আন্তর্জাতিক জলসীমা আইন’ লঙ্ঘন করায় হরমুজ প্রণালীতে ব্রিটেনের পতাকাবাহী একটি ট্যাঙ্কার জব্দ করেছে বলে জানিয়েছে ইরানের বিপ্লবী গার্ডস।
অত্যন্ত স্পর্শকাতর এ জলপথে উত্তেজনা বাড়ার পর তারা এটি জব্দ করলো।
এদিকে ব্রিটেন জানায়, ইরান উপসাগরীয় জলসীমায় দু’টি জাহাজ আটক করেছে। বিষয়টির দ্রুত সুরাহা না হলে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী জারেমি হান্ট এ ব্যাপারে ‘ভয়াবহ পরিণতির’ হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
ট্যাঙ্কার দু’টির একটি লাইবেরিয়ার পতাকাবাহী মেসদারের ব্রিটিশ মালিক জানান, জাহাজটিতে সাময়িকভাবে সশস্ত্র ব্যক্তিরা উঠলেও পরে তারা নেমে যাওয়ায় এখন এটি চলে যাওয়ার জন্য মুক্ত।
হরমুজ প্রণালীতে আমেরিকার নৌবাহিনীর একটি জাহাজের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়ানোয় মার্কিন সামরিক বাহিনী ইরানের একটি ড্রোনকে গুলি করে ভূপাতিত করেছে এমন কথা প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জোর দিয়ে বলার পর সর্বশেষ এ ঘটনা ঘটে। তবে তেহরানের পক্ষ থেকে তাদের ড্রোন ভূপাতিত হওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করা হয়েছে।
বিপ্লবী গার্ডস-এর সরকারি ওয়েবসাইট সেপাহনিউজে বলা হয়, আন্তর্জাতিক জলসীমা আইন লঙ্ঘন করায় স্টিনা ইম্পেরো নামের একটি ট্যাঙ্কার জব্দ করা হয়েছে।
এতে বলা হয়, ট্যাঙ্কারটি সমূদ্র তীরে এনে সংস্থাটির কাছে হস্তান্তর করা হয়। মূলত: আইনগত পদক্ষেপ নিতে এবং প্রয়োজনীয় তদন্ত করতে জাহাজটি তাদের হাতে দেয়া হয়।
ট্যাঙ্কার সনাক্তকরণ সেবা কেন্দ্র মেরিন ট্রাফিকের ফুটেজে সুইডিশ মালিকানাধীন স্টিনা ইম্পেরোকে স্থানীয় সময় রাত ৯ টায় অত্যন্ত স্পর্শকাতর এ জলসীমার লরাক দ্বীপের কাছে তার অবস্থানের ব্যাপারে শেষ ইঙ্গিত দেয়া হয়।
এর মালিক জানান, জাহাজটি আন্তর্জাতিক জলসীমা দিয়ে হরমুজ প্রণালীতে প্রবেশ করার সময় এটি অজ্ঞাতনামা একটি ছোট বিমান ও একটি হেলিকপ্টারের আক্রমনের শিকার হয়।
এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমরা বর্তমানে জাহাজটির সাথে কোন যোগাযোগ করতে পারছি না। তবে জাহাজটি ইরানের উত্তর দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে সেটি এখন সনাক্ত করা যাচ্ছে।’
হান্ট বলেন, তিনি হরমুজ প্রণালীতে দু’টি জাহাজ জব্দের ঘটনার ‘কঠোর নিন্দা’ জানিয়েছেন।
মন্ত্রী পর্যায়ের অত্যন্ত জরুরি সিওবিআরএ বৈঠকের প্রাক্কালে স্কাই নিউজ’কে তিনি বলেন, ‘আমরা সুস্পষ্টভাবে বলে দিয়েছি যে এই পরিস্থিতির দ্রুত সুরাহা করা না হলে এর জন্য ‘মারাত্মক পরিণতি ’ বরণ করতে হবে।
ব্রিটেন নিশ্চিত করেছে, জাহাজ দু’টির একটির ব্রিটেনে নিবন্ধন করা রয়েছে।