রাশিয়ার রাজধানী মস্কোতে সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে বিক্ষোভকারীদের ওপর লাঠিপেটা করেছে পুলিশ।
এ সময় অন্তত এক হাজার বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত কয়েক বছরে এত মানুষকে একসঙ্গে গ্রেফতারের ঘটনা এটিই প্রথম।
শহরের সিটি হল থেকে বিক্ষোভকারীদের টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যান আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
বিক্ষোভকারীরা মেয়রের কার্যালয়ের দিকে এগোতে থাকলে পুলিশ তাদের বাধা দেয় এবং তাদের ওপর লাঠিপেটা করে। কয়েকজন বিক্ষোভকারীকে রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখা গেছে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অন্তত দুই সদস্যের চোখে পিপার স্প্রে লেগেছে বলেও জানিয়েছেন তারা।
মোট এক হাজার ৭৪ জনকে গ্রেফতারের কথা জানিয়েছে মস্কো পুলিশ। তবে পর্যবেক্ষকদের দাবি, এক হাজার ১২৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আগামী ৮ সেপ্টেম্বরের স্থানীয় নির্বাচনে বেশ কয়েকজন প্রার্থী অংশ নিতে পারবেন না বলে জানায় কর্তৃপক্ষ।
এ নির্বাচনে ইচ্ছাকৃতভাবে বিরোধী দলকে বাদ দেয়া হয়েছে বলে বিরোধীদের অভিযোগ। বিরোধী দলের দাবি, রাজনৈতিক কারণেই তাদের নির্বাচনে অংশ নিতে দেয়া হচ্ছে না।
কর্তৃপক্ষ বলছে, যথাযথ বৈধ স্বাক্ষর সংগ্রহ করতে ব্যর্থ হওয়ায় অন্তত ৩০ প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। এর পেছনে কোনো রাজনৈতিক কারণ নেই।
মস্কো শহরের মেয়র সেরগেই সোবইয়ানিন বিক্ষোভকারীদের শহরের নিরাপত্তার জন্য হুমকি বলে উল্লেখ করেন। এবং তিনি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখবেন বলেও শহরবাসীকে প্রতিশ্রুতি দেন।
রাশিয়া ইউনাইটেড পার্টির শাসন নিয়ে বিরোধী সমর্থকদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই ক্ষোভ জন্ম নিচ্ছিল। এর মধ্যে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের তীব্র সমালোচক ও বিরোধী দলের নেতা এলেক্সেই নাভালনি শনিবারের বিক্ষোভের ডাক দেয়ায় তাকে গ্রেফতার করে ৩০ দিনের কারাদণ্ড দেয়া হয়।
এলেক্সেই এর ডাকেই শনিবার ২০ হাজারেরও বেশি মানুষ নেমে আসেন রাস্তায়। যাদের মধ্যে ৭০০ জনই ছিলেন বিভিন্ন গণমাধ্যমের সংবাদকর্মী।