সরকার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে এক লাখ এনএসওয়ান (ডেঙ্গু শনাক্তের অন্যতম পরীক্ষা) কিট কিনবে। এছাড়া বৃহস্পতিবার থেকে বিভিন্ন স্কুলে শিক্ষার্থীদের ডেঙ্গু বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া শুরু হবে।
বুধবার (৩১ জুলাই) এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডাক্তার তানিয়া তহমিনা।সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক মীরজাদী সাবরিনা।
তিনি বলেন, তাদের হিসাব অনুযায়ী এ পর্যন্ত ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে গণমাধ্যমে মৃত্যুর যে সংখ্যা উল্লেখ করা হচ্ছে সে বিষয়টিও যে কনফার্ম না, বিষয়টি তাও না।
‘আসলে আমাদের ডেথ রিভিউ কমিটির ডেঙ্গু রোগে মৃত্যুবরণকারীদের সব ধরনের তথ্য সংগ্রহ ও পর্যালোচনা করতে সময় একটু বেশি লাগে, তাই প্রকৃত তথ্য প্রকাশে একটু দেরি হয়।’
এবার বর্ষার শুরুতেই ঢাকায় মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরের প্রাদুর্ভাব ঘটে, এখন তা ছড়িয়ে পড়েছে দেশের অন্তত ৬০ জেলায়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর দেশে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ৩৬৯ জন। যাদের আটজনের মৃত্যু হয়েছে বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশনস সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
তবে সংবাদপত্রে আসা খবরে ডেঙ্গুতে মৃত্যুর সংখ্যা এ বছর অর্ধশত ছাড়িয়েছে।
বিভিন্ন জেলায় আক্রান্তদের অনেকে ঢাকা থেকে রোগ নিয়ে গেছেন। তবে রাজধানীর বাইরেও এডিস মশার বিচরণ রয়েছে বলে স্থানীয় পর্যায়ে আক্রান্তের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না বিশেষজ্ঞরা।
তাছাড়া ঢাকা থেকে এই রোগ নিয়ে যাওয়ায় সারা দেশেই তা ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তারা।
ডেঙ্গু নিয়ে নতুন করে যারা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ২২১ জন ভর্তি হয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে, বর্তমানে এখানে চিকিৎসাধীন আছেন ৬৭৯ জন ডেঙ্গু রোগী।