এক ঝটকায় জম্মু-কাশ্মীরের মানচিত্র ও মর্যাদা বদলে দিয়েছেন ঠিকই, কিন্তু তারপর ভূস্বর্গের যে পরিস্থিতি, তা বদলের প্রশ্নে তাড়াহুড়ো করতে রাজি নন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
বৃহস্পতিবার (৯ আগস্ট) সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণে মোদী বলেন, উপত্যকার বদল হবে ‘ধীরেধীরে’।
মোদী বলেন, “জম্মু-কাশ্মীরে ভোট হবে, মানুষ নিজের বিধায়ক-মুখ্যমন্ত্রী পাবেন। ঈদে বাড়ি ফেরার সুযোগ পাবেন প্রবাসী কাশ্মীরিরা। রোজগার হবে। হবে উন্নয়নও। আসবে বিনিয়োগ। সর্বোপরি রাজ্যের মর্যাদাও আবার ফিরে পাবে জম্মু-কাশ্মীর।”
প্রায় ৪০ মিনিটের বক্তৃতায় মূল আবেদনটি ছিল জম্মু-কাশ্মীরের মানুষ যদি পাকিস্তানের ষড়যন্ত্র, বিচ্ছিন্নতাবাদ, সন্ত্রাসবাদ ও পরিবারতন্ত্রের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান, তাহলে বদলে যেতে পারে ভূস্বর্গের চেহারা। সেই বদল ঘটাতে বিরোধীদেরও পাশে থাকার আহ্বান জানান মোদী।
পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে উপত্যকায় ভোট করার আশ্বাস দিলেও, নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেননি মোদী। অথচ, বিল পেশের আগে সরকারই জানিয়েছিল, তারা ভোট করাতে প্রস্তুত। তবে, বিরোধীদের মতে, এখন ভোট করাতে দু’বার ভাবতে হবে কেন্দ্রকে। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আবদুল্লা ও মুফতি পরিবারের প্রতি উপত্যকার মানুষের সহানুভূতি বেড়ে যাবে কি না, সেই প্রশ্নও রয়েছে।
মোদী বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী-বিধায়কদের বেছে নেওয়া হবে নতুন প্রজন্ম থেকে। যাদের হাত ধরে গড়ে উঠবে নতুন কাশ্মীর।’’