ইরান অভিযোগ করে বলছে, মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কারণে তারা জীবন রক্ষাকারী ঔষধ পাচ্ছে না। ফলে ওষুধের হাহাকার চলছে গোটা দেশ জুড়ে। তবে তেহরানের এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে ট্রাম্প প্রশাসন।
ইরান বিষয়ক মার্কিন বিশেষ প্রতিনিধি ব্রায়ান হুক বলেছেন, ইরানের জনগণের জন্য যুক্তরাষ্ট্র ঔষধ ও চিকিৎসা সামগ্রী নিষেধাজ্ঞার আওতার বাইরে রেখেছে। তবে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ বলছেন, ফার্মাসিউটিক্যালসের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার প্রভাব পড়েছে। কেননা ঔষধ কিনতে আর্থিক লেনদেনের ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। ফলে ওষুধ সঙ্কটে পড়েছে ইরানের সাধারণ মানুষ। বিবিসির পার্সিয়ান সার্ভিস তাদের দর্শকদের কাছ থেকে ঔষধের দাম বৃদ্ধির বিষয়টি জানতে পেরেছে।
এ প্রসঙ্গে এক ভুক্তভোগী বলেন, ‘আমি আমার এলাকার ফার্মেসিতে একটি প্রয়োজনীয় ওষুধ পাইনি। এর জন্য আমাকে অন্য কয়েকটি শহরের ফার্মেসিগুলোতে খোঁজ নিয়েছিলাম। অল্প কয়েকটিতে ফার্মেসিতে ওষুধটি আছে। কিন্তু দাম এতো বেশি যে আমি তা কিনতে পারিনি। বিবিসি প্রতিনিধি ইরানের অভ্যন্তরে একজন ঔষধ আমদানীকারকের সাথেও কথা বলেছে।
তিনি বলছেন, গত দু'বছরে ওষুধের ঘাটতি দেখা দিয়েছে এবং দামও বেড়ে গেছে। বিশেষ করে অচেতন করা, ক্যান্সার চিকিৎসা ও ডায়াবেটিসের ঔষধ পাওয়াটা কঠিন হয়ে উঠেছে। এছাড়া ইরান সরকারের তথ্য অনুযায়ী, গত এক বছরে স্বাস্থ্য ও মেডিকেল সেবার খরচ বেড়েছে ১৯ শতাংশ। আর এর পিছনে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা যে প্রভাব ফেলছে তা বলাই বাহুল্য।
প্রসঙ্গত, ইরানের সাথে যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনসহ ছয় জাতির পরমাণু চুক্তির পর ২০১৬ সালে দেশটির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হয়েছিলো। কিন্তু ২০১৮ সালে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সেই চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসার পর তেহরানের ওপর ফের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র যার প্রভাব পড়েছে দেশটির শিল্প ও ব্যাংক খাতে।