কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা (ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ) বাতিলের পর সেখানে অনেকটা থমথমে অবস্থায় উদযাপিত হচ্ছে ঈদুল আজহা। ঈদে জম্মু-কাশ্মীরে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে আগাম সতর্কতা নিয়েছে প্রশাসন।
শ্রীনগরে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। পাশাপাশি রোববার থেকে অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। বহু জায়গায় দোকান বন্ধ রাখতে নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ। বিভিন্ন বিক্রেতাদের ঘরে ফেরার নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ।
৩৭০ ধারা বাতিলের সিদ্ধান্ত ঘোষণার আগে থেকেই নিরাপত্তা জোরদার করা হয় কাশ্মীরে। পরে নিরাপত্তা আরও বাড়নো হয়েছে।
ঈদের দিন সোমবার সকাল থেকেই কাশ্মীরের বিভিন্ন প্রান্তে শান্তিপূর্ণভাবেই ঈদের নামাজ আদায় করেছে মুসল্লিরা। সেখানে এখনও পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশের এক শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, সোমবার উপত্যকায় নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। শান্তিপূর্ণ ভাবে যাতে ঈদ উদযাপন করা যায় সে দিকে নজর দেয়া হচ্ছে।
গত ৫ আগস্ট ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা (ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ) বাতিল করে দিয়েছে। একই সঙ্গে জম্মু-কাশ্মীরকে ভেঙে দুটি অঞ্চল কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গঠন করা হয়েছে।
কাশ্মীরী সংগঠনগুলো বলেছে, জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের অর্থ হলো সেখানকার অধিবাসীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা। জম্মু-কাশ্মীরের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেখানে অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। এরপরও সেখানে বিক্ষোভ হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।