মুসলিম উইঘুর নারীদের জোর করে বন্ধ্যা বানাচ্ছে চীন কর্তৃপক্ষ। দেশটির জিনজিয়াং অঞ্চলের বন্দী শিবিরগুলোতে এ কাজ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ সম্পর্কে বন্দী শিবিরে থাকা গুলবাহার গালিলোভা বলেন, তারা (চীন কর্তৃপক্ষ) নিয়মিত আমাদের ইনজেকশন দেয়। দরজার ছোট একটি গর্ত দিয়ে আমাদের হাত বের করতে হয়। তারপরই ইনজেকশন দেয়। ইনজেকশন দেয়ার পর আমরা বুঝতে পারি, আমাদের ঋতুস্রাব হচ্ছে না।
৫৪ বছর বয়সী গুলবাহার গালিলোভা এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চীনের ওই বন্দী শিবিরে বসবাস করছেন। অবশ্য চীন সরকার এগুলোকে ‘পুনর্বাসন কেন্দ্র’ বলে উল্লেখ করে।
বন্দী শিবিরের ভয়াবহতা উল্লেখ করে গালিলোভা বলেন, খুব অল্প জায়গার মধ্যে আরও ৫০ জন নারীর সঙ্গে আমি বন্দী শিবিরের দিনগুলো কাটাই। আমাদের এতো বাজে অবস্থার মধ্যে রাখা হয় যেন আমরা একটুকরো মাংস, মানুষ নই।
এর আগে মেহরিজুল তুরসান নামের এক নারীও একই তথ্য দিয়েছিলেন। তিনি প্রায় চার মাস বন্দী শিবিরে ছিলেন। পরবর্তীতে মানসিক রোগে আক্রান্ত এমনটি ধরা পড়ায় মুক্তি পান।