দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে সব ধরনের শান্তি আলোচনা বাতিল করেছে উত্তর কোরিয়া। আর, এর জন্য দক্ষিণ কোরিয়াই দায়ী বলে দাবি করেছে তারা।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর কোরিয়া দ্বিখণ্ডিত হয়ে দু’টি স্বাধীন দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। গত বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) এক ভাষণে ২০৪৫ সালের মধ্যে দুই কোরিয়াকে ফের একত্রিত করে ‘কোরিয়ান পেনিনসুলা’ গড়ার প্রতিজ্ঞা করেন দক্ষিণ কোরীয় প্রেসিডেন্ট মুন জা-ইন।
এ বক্তব্যের প্রেক্ষিতে তাদের সঙ্গে শান্তি আলোচনা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে উত্তর কোরিয়া।
শুক্রবার (১৬ আগস্ট) এক বিবৃতিতে পিয়ংইয়ং জানিয়েছে, দক্ষিণ কোরিয়া একদিকে যৌথ সামরিক মহড়া চালাবে, অন্যদিকে শান্তিপূর্ণ অর্থনীতি ও সরকার গঠনের কথা বলবে, এটা হতে পারে না।
দক্ষিণ কোরিয়া-যুক্তরাষ্ট্রের চলমান যৌথ সামরিক মহড়া নিয়ে এর আগেও কড়া আপত্তি জানিয়েছিল পিয়ংইয়ং। এটিকে সরাসরি যুদ্ধের প্রস্ততি বলে দাবি করেছে তারা।
এমন উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যেই শুক্রবার (১৬ আগস্ট) আরও দু’টি ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া।
গত এক মাসের মধ্যে এটি তাদের ষষ্ঠবারের মতো ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা। মাত্র ছয়দিন আগেই জাপান সাগরে স্বল্পপাল্লার দু’টি ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে দেশটি।
গত জুন মাসে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কিম জং উনের বৈঠকে পারমাণবিক কার্যক্রম প্রত্যাহারে রাজি হওয়ার পরেও এ ধরনের পরীক্ষা অব্যাহত রেখেছে উত্তর কোরিয়া।
পারমাণবিক অস্ত্র প্রস্তুত কার্যক্রমের জন্য উত্তর কোরিয়ার ওপর বেশ কিছু আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনায় তারা এসব নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছিল।