ধর্মবিদ্বেষমূলক মন্তব্যের জের ধরে মালয়েশিয়ার নাগরিকদের কাছে ক্ষমা চাইলেন বিতর্কিত ধর্মপ্রচারক জাকির নায়েক। বক্তৃতা দেওয়ার ক্ষেত্রে পুলিশের নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর মঙ্গলবার তিনি এ ক্ষমা প্রার্থণা করেন।
চলতি মাসের প্রথম দিকে মালয়েশিয়ার কেলানতান রাজ্যের কোটা বারুতে এক অনুষ্ঠানে জাকির নায়েক বলেছিলেন, মালয়েশিয়ার হিন্দুরা প্রধানমন্ত্রী মাহাথিরের চেয়ে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রতি বেশি অনুগত। এছাড়া তাকে ভারতে ফিরে যাওয়ার ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে জাকির নায়েক বলেন, মালয়েশিয়ার পুরোনো অতিথি হচ্ছে মুসলিমরা। আর নতুন অতিথি হচ্ছে চীনারা। ফিরে যাওয়ার প্রশ্ন উঠলে আগে নতুন অতিথি অর্থাৎ চীনাদের চলে যাওয়া উচিৎ। যদিও মালয়েশিয়ায় তিন কোটি ২০ লাখ জনগোষ্ঠীর মধ্যে ৬০ শতাংশই বর্ণ ও ধর্মীয় ইস্যুটিকে অত্যন্ত স্পর্শকাতর হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
জাকির নায়েকের বক্তব্যের ইস্যুটি সম্প্রতি মালয়েশিয়ার রাজনীতিতে উত্তাপ ছড়াচ্ছিল। খোদ প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ বলেছিলেন, তদন্তে জাকিরের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার স্থায়ী আবাসিক মর্যাদা বাতিল করা হতে পারে।
মঙ্গলবার জাকির নায়েক বলেছেন, ‘কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীকে বিব্রত করার ইচ্ছা কখনোই আমার ছিল না। এটা ইসলামের মৌলিক শিক্ষার বিরোধী এবং এই ভুল বোঝাবুঝির জন্য আমি আন্তরিকভাবে ক্ষমা প্রার্থণা করছি।’