logo
আপডেট : 21 August, 2019 23:41
জিয়াউর রহমান মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না, আমুর চ্যালেঞ্জ
ঢাকা অফিস

জিয়াউর রহমান মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না, আমুর চ্যালেঞ্জ

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমু আজ বুধবার রাজধানীর খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন

মুক্তিযুদ্ধের জেড ফোর্সের অধিনায়ক ও সেক্টর কমান্ডার তৎকালীন মেজর জিয়াউর রহমান মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না বলে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমু। 

তিনি দাবি করেছেন, জিয়াউর রহমান তথাকথিত মুক্তিযোদ্ধা। তিনি কোনো জায়গায় মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেননি। আমি এটা আরো আগেই চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলেছিলাম।

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনায় হতাহতদের স্মরণে আজ বুধবার রাজধানীর খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা সভায় আমির হোসেন আমু এ কথা বলেন।

আওয়ামী লীগের আয়োজনে ওই আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ দলের কেন্দ্রীয় নেতারা বক্তব্য দেন।

সাবেক শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেন, ‘জিয়া জেড ফোর্সের কমান্ডার ছিলেন, সেক্টর কমান্ডার ছিলেন না। এটা আমাদের দেশের অনেকের ভুল ধারণা, নো, জিয়াউর রহমান কখনই সেক্টর কমান্ডার ছিলেন না। তিনি জেড ফোর্সের কমান্ডার ছিলেন। জিয়া উর্দুতে কথা বলতেন তাঁর পরিবারের ভেতরে। আজকে ফারুক রশিদের কথা বলা হয়, তারা কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের শেষ সময়ে পাকিস্তান থেকে এসে যোগ দিয়েছে আমাদের সেনাবাহিনীতে। তাদের মূল লক্ষ্য উদ্দেশ্য ছিল স্বাধীনতা যাতে না আসে।  কিন্তু দেশ স্বাধীন হওয়ার পর স্বাধীনতার মূল স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করা হয়। বাদ ছিলেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। যেহেতু তিনি ১৫ আগস্ট দেশে ছিলেন না, বাইরে ছিলেন। দেশে এসে আওয়ামী লীগ ও দেশের হাল ধরেছেন।’

আমির হোসেন আমু বলেন, ‘একটা কথা আছে, নিয়ত গুণে বরকত। তাঁর (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) নিয়ত ছিল দেশে এসে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজগুলো সমাপ্ত করা। ১৬ কোটি মানুষের সাথে তাঁর পরিবার একান্নবর্তী হয়ে গেছে বলেই তিনি বারবার হামলার পরও বেঁচে যাচ্ছেন। যারা তাঁকে হত্যার জন্য বারবার চেষ্টা করছে, তারা আজ জনবিচ্ছিন্ন। তাদের দিকে তাকিয়েই আওয়ামী লীগকে আরো জনসম্পৃক্ত হয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।’

আওয়ামী লীগের এ নেতা আরো বলেন, ‘২১ বছর তারা দেশের বিভিন্ন জায়গায় আওয়ামী লীগের হাজার হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করলেও ৯৬-তে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর তাদের ওপর একটি ফুলের আঁচরও দেয় নাই। আওয়ামী লীগ একটি বিজয় মিছিলও করে নাই। ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে ভুলে গেল আওয়ামী লীগের কর্মকাণ্ডগুলো। তারা আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংঠনের ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের  ৩৩ হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করে। মা-বোনের সম্ভ্রম নষ্ট করল, যেভাবে একাত্তরে করা হয়েছিল। তারা যদি শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে পারত, তাহলে এ দেশের তিন লাখ লোককে হত্যা করা হতো। তাই আমরা মনে করি, এ দেশকে রক্ষার জন্য শেখ হাসিনা বারবার প্রাণে বেঁচে গেছেন।’