যখন স্কুলে পড়তাম, তখন পরীক্ষায় কোন বিষয়ে নম্বর কম পেলে মন খুব খারাপ হতো। ক্রিকেট খেলায় হেরে আসলে, কারো সাথে মারামারি হলে মন খারাপ হতো। আমার শিক্ষক আব্বা বিষয়টা বুঝতে পারতেন। সেই ছোট বয়সেই তিনি সবসময় বলতেন, ধৈর্য ধরো। এটা তেমন কিছুই না। হয়তো এর মধ্যেই তোমার মঙ্গল আছে।
সেই সময় আব্বার কথাগুলো কেমন বুঝতাম না। তবে এটুকু বুঝতাম, যেহেতু আব্বা বলেছে ধৈর্য্য ধরতে, সেহেতু এটা আমার জন্য খারাপ কিছু না। ভালো কিছু সামনে অপেক্ষা করছে।
মাওলানা তারেক জামিলের অসাধারণ একটি বক্তব্য শুনছিলাম ধৈর্য্য নিয়ে। যার বাংলা করলে নিম্নরূপ অর্থ হয়,
"কেউ কষ্ট দিলে চুপ হয়ে যাও। আল্লাহর কসম! তুমি এমন শক্তিশালী হবে, পাহাড় তোমার রাস্তা দেখাবে। ধৈর্য্য মানুষের সবচেয়ে বড় শক্তি।
কেউ যদি তোমার জিনিসপত্র উল্টিয়েও রেখে দেয়, চুপ থাকা শেখো, শান্ত থাকা শেখো। তারপর দেখো তোমার জীবনে কেমন সৌন্দর্য্য আসে।
রাগ প্রকাশ করে সাময়িক শান্তি মিললেও, তারপর লজ্জা আর অশান্তি ছাড়া কিছুই পাওয়া যায় না। চুপ হয়ে যাও, এটা তোমাকে মহান ব্যক্তিতে পরিণত করবে। তোমার দোয়া আরশে সাথে সাথে কবুল হবে"।
জীবনে যখন যে বিপদ-আপদ আসুক, আমাদের উচিত ধৈর্য্য ধারণ করে মহান আল্লাহর কাছে সাহায্য চাওয়া। কারণ সকল বিপদ থেকে মুক্তি একমাত্র তিনিই দিতে পারেন।
লেখক: উপ পরিচালক, বাংলাদেশ ব্যাংক।