পর্যটন ও চিকিৎসা খাতে বাংলাদেশিদের জন্য অন অ্যারাইভাল ভিসা পদ্ধতি চালুর অনুরোধ জানিয়েছেন চট্টগ্রাম চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম।
বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) আগ্রাবাদের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে চট্টগ্রাম চেম্বার সভাপতির সঙ্গে থাই রাষ্ট্রদূত অরুনরং ফথং হামফ্রেসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এ অনুরোধ জানানো হয়।
চেম্বার সভাপতি দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে কানেক্টিভিটির ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি চট্টগ্রাম বন্দর ও থাইল্যান্ডের রেনং বন্দরের মধ্যে সরাসরি সমুদ্র যোগাযোগ স্থাপনের মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য আরও দ্রুত ও সাশ্রয়ী করা সম্ভব বলে মন্তব্য করেন।
তিনি বর্তমানে চট্টগ্রাম-ব্যাংকক রুটে কোনো ফ্লাইট চলাচল করছে না উল্লেখ করে দ্রুত এ রুটে থাই এয়ারওয়েজের ফ্লাইট পরিচালনার লক্ষ্যে রাষ্ট্রদূতের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। একই সাথে মিরসরাই বঙ্গবন্ধু শিল্পনগরে থাই বিনিয়োগ প্রত্যাশা করেন।
থাই রাষ্ট্রদূত বলেন, দ্বিপাক্ষিক ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং অর্থনৈতিক কূটনীতি জোরদার করা তার সরকারের অন্যতম লক্ষ্য।
তিনি এ ক্ষেত্রে উভয় দেশের জনগণ ও বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তাদের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
রাষ্ট্রদূত সরাসরি সমুদ্রপথে যোগাযোগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে এ ব্যাপারে উভয় সরকারকে একযোগে কাজ করতে হবে বলে মত প্রকাশ করেন।
বর্তমানে তিন-চার দিনের মধ্যে ভিসা ইস্যু হচ্ছে জানিয়ে এ পদ্ধতি আরও উন্নত করা হচ্ছে বলে জানান রাষ্ট্রদূত।
ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে বাংলাদেশ বিশেষ করে চট্টগ্রাম নিশ্চিতভাবেই অর্থনৈতিক হাবে পরিণত হবে বলে অভিমত দেন থাই রাষ্ট্রদূত।
বিভিন্ন বিষয়ে মতামত দেন থাই অনারারি কনসাল আমীর হুমায়ুন মাহমুদ চৌধুরী ও চেম্বার পরিচালক অঞ্জন শেখর দাশ।
এ সময় চেম্বার পরিচালক মো. অহীদ সিরাজ চৌধুরী স্বপন, অঞ্জন শেখর দাশ, বেনজির চৌধুরী নিশান, মো. শাহরিয়ার জাহান, তাজমীম মোস্তফা চৌধুরী ও সাকিফ আহমেদ সালাম, দূতাবাসের সেকেন্ড সেক্রেটারি পিচায়া অ্যাডসাকুল ও পলিটিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট মো. সানভিরাজ হাসান নিলয় উপস্থিত ছিলেন।