logo
আপডেট : 19 September, 2019 19:10
একদিনে চারবার ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি ক্যানসার জয়ী নারীর
মেইল রিপোর্ট

একদিনে চারবার ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি ক্যানসার জয়ী নারীর

মার্কিন স্যারাহ টমাস। ছবি : সংগৃহীত

কোনো ধরনের বিরতি ছাড়াই সাঁতার কেটে ইংলিশ চ্যানেল চারবার পাড়ি দিয়ে রেকর্ড গড়েছেন ক্যানসার থেকে বেঁচে যাওয়া এক নারী। ৩৭ বছর বয়সি মার্কিন এই নারীর নাম স্যারাহ টমাস। 

এই দুঃসাহসিক অভিযান তিনি শুরু করেন রোববার ভোরের দিকে। পরে এক নাগাড়ে ৫৪ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে সাঁতার কাটেন। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে সাঁতারের শেষ ধাপটি সম্পন্ন করেন। 

খোলা জায়গায় আলট্রা ম্যারাথন সাঁতারু হিসেবে পরিচিত স্যারাহ টমাস। এর আগে মাত্র চার জন সাঁতারু একবারও না থেমে তিনবার চ্যানেলের এপার-ওপার পাড়ি দিয়েছিলেন।

স্যারাহ স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছিলেন। মাত্র এক বছর আগে তার চিকিৎসা শেষ হয়েছে। তার এই ‘ইংলিশ চ্যানেল জয়’ করার ঘটনাকে তিনি উৎসর্গ করেছেন ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করে যারা বেঁচে আছেন তাদের উদ্দেশ্যে। 

তার এই সাঁতার ৮০ মাইল দীর্ঘ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তীব্র স্রোতের কারণে শেষ পর্যন্ত তাকে ১৩০ মাইলের মতো সাঁতরে পার হতে হয়েছে। 

সাঁতার শেষ করে ডোভারে তীরে উঠে আসার পর গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করতে পারছি না যে আমরা এটা করেছি। আমার সঙ্গে দেখা করতে এবং আমি যাতে সফল হতে পারি সেই শুভ ইচ্ছার কথা জানাতে অনেকেই তীরে হাজির হয়েছেন। সত্যি কথা বলতে কী আমি নিজেই হতভম্ব হয়ে পড়েছি। 

এই ৫৪ ঘণ্টা তিনি প্রোটিন-সমৃদ্ধ পানীয় পান করেছেন যা তার শরীরে পুষ্টির যোগান দিয়েছে। তার সাঙ্গে মেশানো হয়েছিল ইলেকট্রোলাইটস এবং সামান্য ক্যাফেইন যা তার ঘুম তাড়াতে সাহায্য করেছিল।

স্যারাহ জানান, তিনি ক্লান্ত। মঙ্গলবার তিনি সারাদিন ঘুমানোর কথা ভাবছেন। অনেকেই একে বিস্ময়কর এবং অতিমানবীয় ঘটনা হিসেবে দেখছেন। বড়ো বড়ো সাঁতারুরাও বলছেন, মানুষ যখন মনে করছে যে তারা তাদের ক্ষমতার শেষ সীমায় পৌঁছে গেছে, তখনই সেসব রেকর্ড ভেঙে দেওয়া হলো।

স্যারাহ টমাসের মা বলেন, তার মেয়ে একটু ‘পাগলা’ ধরনের। ইংলিশ চ্যানেল জয় করার সবশেষ এই অভিযানে তাকে পেট-ব্যথার সমস্যায় পড়তে হয়েছিল। এর আগেও টমাস ইংলিশ চ্যানেলে সাঁতার কেটেছেন। ২০১২ ও ২০১৬ সালেও তিনি চ্যানেল পাড়ি দিয়েছেন।