logo
আপডেট : 21 September, 2019 00:36
অস্ত্র-মাদকের মামলায় ৭ দিনের রিমান্ডে খালেদ মাহমুদ
ঢাকা অফিস

অস্ত্র-মাদকের মামলায় ৭ দিনের রিমান্ডে খালেদ মাহমুদ

অস্ত্র ও মাদক আইনে করা মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গ্রেফতার যুবলীগ নেতা খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা মহানগর মুখ্য হাকিম (সিএমএম) আদালতের বিচারক মাহমুদা আক্তার ও শাহিনূর রহমান এ আদেশ দেন। খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে গুলশান থানায় অস্ত্র, মাদক ও মানি লন্ডারিং আইনে তিনটি মামলা করেছে র‌্যাব। এছাড়া মতিঝিলি থানায় মাদক আইনে আরো একটি মামলা করা হয়। এর মধ্যে অস্ত্র ও মাদকের মামলায় খালেদের সাত দিন করে রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ।

আদালতে খালেদের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন আইনজীবী মো. আয়ুবুর রহমান মানিক, হাসানসহ কয়েকজন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন রাকিবুল। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক মাহমুদা আক্তার অস্ত্র আইনের মামলায় খালেদের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পরে মাদক আইনের মামলায় খালেদের আরো তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন বিচারক শাহিনূর রহমান।

এর আগে, বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ৮টার দিকে খালেদকে সিএমএম আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়।

বুধবার বিকেল থেকেই খালেদের গুলশানের বাসা ঘিরে রাখে র‌্যাব। পরে সন্ধ্যায় তাকে আটক করা হয়। তার বাসা থেকে একটি অবৈধ অস্ত্র, লাইসেন্সের শর্ত ভঙ্গ করা আরো দুটি অস্ত্র, কয়েক রাউন্ড গুলি ও দুই প্যাকেটে চারশ পিস ইয়াবা জব্দ করে র‌্যাব। এছাড়া তার বাসার ওয়াল শোকেস থেকে ১০০০, ৫০০ ও ৫০ টাকার নোটের ১০ লাখ ৩৪ হাজার টাকা জব্দ করে র‌্যাব। চার থেকে পাঁচ লাখ টাকা সমমূল্যের মার্কিন ডলারও জব্দ করা হয় এসময়।

ওইদিন বিকেলে খালেদের ইয়ং মেনস ক্যাসিনোতেও অভিযান চালায় র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযানে ১৪২ জন নারী-পুরুষকে আটক করা হয়। এর মধ্যে ৩১ জনকে একবছর ও বাকি ১১১ জনকে ছয় মাস করে কারাদণ্ড দেয়া হয়। ক্যাসিনো থেকে জুয়ার প্রায় সাড়ে ২৪ লাখ টাকা জব্দ করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এছাড়া বিপুল পরিমাণ মদ, বিয়ার, সিগারেটসহ নেশাজাতীয় বিভিন্ন দ্রব্য জব্দ করা হয় ওই ক্যাসিনো থেকে।