ইরানের ন্যাশনাল ব্যাংক ও দুটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের ‘সর্বোচ্চ মাত্রায়’ নিষেধাজ্ঞার অংশহিসেবে এ অবরোধ আরোপ করেছেন।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বৈশ্বিক অর্থনীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে ইরান সৌদি আরবের তেল স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে। আগ্রাসী এই পদক্ষেপটি তাদের ঝুঁকিপূর্ণ পরিকল্পনা বাস্তবায়নেরই অংশ।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশনায় মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইরানের ওপর ইতিহাসের সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপ করেছে বলেও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওই বিবৃতিতে দাবি করা হয়।
ইরানের ন্যাশনাল ব্যাংকের পাশাপাশি ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ফান্ড ও দেশটির ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ইতিমাদ গ্রুপকেও এ নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হয়েছে।
মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্টিভেন মিউচিন বলেছেন, ন্যাশনাল ব্যাংকই তেহরানের তহবিলের সর্বশেষ উৎস। এটি খুবই বড় ব্যাপার, আমরা এখন ইরানের তহবিলের সব উৎসই বন্ধ করতে পেরেছি।
গত বুধবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ইরানের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা জারির ঘোষণা দিয়েছিলেন। ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা বাড়ানোর নির্দেশ দেয়ার কথা ঘোষণা করার দু’দিনের মাথায় দেশটির ন্যাশনাল ব্যাংকে নিষেধাজ্ঞা আরোপের এ ঘোষণা দেয়া হল।
এক টুইটে ট্রাম্প জানিয়েছেন, ইরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা যথেষ্ট বৃদ্ধি করার জন্য মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে অনির্দিষ্ট, শাস্তিমূলক অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার পদক্ষেপগুলো ঘোষিত হবে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন তিনি।
গত জুনে আরোপ করা নিষেধাজ্ঞায় আগেরগুলোর সঙ্গে যুক্ত হয়ে বিশাল এক তালিকা তৈরি হয়েছে। খামেনি ছাড়াও দেশটির বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর আট জ্যেষ্ঠ কমান্ডারের ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
গত বছর ছয় বিশ্বশক্তির সঙ্গে ইরানের সই করা পরমাণু চুক্তি থেকে সরে আসার ঘোষণা দেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরপর তেহরানের বিরুদ্ধে একের পর এক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।
চুক্তি থেকে সরে আসার মাস ছয়েক পর ইরানের তেল রফতানি ও অর্থনৈতিক লেনদেনের টুটি চেপে ধরতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।