মানব পাচার দাস প্রথার নব্য সংস্করণ। অনেকে অবৈধভাবে প্রবাসে যেয়ে অত্যন্ত মানবেতর জীবন যাপন করছেন। বৈধভাবে না যাবার কারণে ভালো কোন কাজও পাচ্ছে না। পুলিশের ভয়ে পালিয়ে বেড়াতে হয়। তবে মানব পাচার শুধু বিদেশ সংশ্লিষ্ট নয়, দেশের অভ্যন্তরেও মানব পাচার হয়ে থাকে। এজন্য আমাদের নিজেদেরকেই সর্বপ্রথম সচেতন হতে হবে। মানব পাচার প্রতিরোধকল্পে ব্যক্তিপর্যায়ে নিম্নোক্ত পদক্ষেপগুলো বিবেচনা করা যেতে পারে-
১. দেশে কিংবা বিদেশে কোথাও চাকরির জন্য লোভনীয় প্রস্তাব পেলে, সেই চাকরি এবং প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে সকল তথ্য সংগ্রহ করতে হবে।
২. এলাকায় অপরিচিত কিংবা নতুন কোন কাউকে দেখলে এবং আচার, আচরণে সামান্যতম সন্দেহ হলে অবশ্যই ভালোভাবে খোঁজ খবর নিতে হবে। প্রয়োজনবোধে পুলিশ, জনপ্রতিনিধিকে জানাতে হবে।
৩. দূরে কোথাও মেয়ে বিয়ে দেয়ার সময় অবশ্যই ছেলে পক্ষের খোঁজ খবর নিতে হবে।
৪. এক মাস কিংবা দুই মাস মেয়াদি টুরিস্ট ভিসায় বিদেশে যেয়ে সেখানে থেকে যাওয়া আদৌ ঠিক নয়। দেশে ফিরে আসতে হবে।
৫. অনেকেই অল্প খরচে বিদেশে যাবার জন্য অবৈধ পথটাকে বেছে নেয়। এই চিন্তা থেকে বের হয়ে আসতে হবে।
৬. পাচারের শিকার ব্যক্তিরা যেন সমাজে পূর্বের সম্মান ও মান-মর্যাদা নিয়ে বেঁচে থাকতে পারে সেজন্য সমাজের প্রতিটি নাগরিককে এগিয়ে আসতে হবে।
মানব পাচার সামান্য কোন সমস্যা নয়। মানব পাচারের কারণে শুধুমাত্র ভুক্তভোগী ব্যক্তির উপরই প্রভাব পড়েনা, প্রভাব পড়ে সমাজ, অর্থনীতির উপরও। ব্যক্তিপর্যায়ের সচেতনতার মাধ্যমে বন্ধ হোক মানব পাচার, এটাই প্রত্যাশা।
লেখক: উপ পরিচালক, বাংলাদেশ ব্যাংক।