গত ২৬ সেপ্টেম্বর সিলেটে এক অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘অপকর্মকারীদের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অ্যাকশন শুরু হয়েছে।
যেখানে টেন্ডারবাজ, চাঁদাবাজ, দুর্নীতিবাজ সেখানেই অ্যাকশন চলবে। দলের মধ্যে শুদ্ধি অভিযান শুরু হয়েছে। যতদিন পর্যন্ত মানুষের কাছে আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল না হচ্ছে ততদিন অভিযান চলবে’ (যুগান্তর, ২৭ সেপ্টেম্বর)।
শাসক দল আওয়ামী লীগের দাবি অনুযায়ী যখন বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে, যখন জাতিসংঘসহ বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক সংস্থা বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রশংসা করেছে, যখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিভিন্ন পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন, তখন ‘অল্প কয়েকজনের অপকর্মের জন্য দলের গৌরব ও অর্জন ম্লান’ হয়েছে বলে আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতাদের দাবি কতটা যৌক্তিক এবং চলমান ‘শুদ্ধি অভিযান’ দলটির ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে কতটা সহায়ক হবে, তা পর্যালোচনা করাই এ নিবন্ধের উদ্দেশ্য।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৯ সাল থেকে দেশ শাসন করছে। তার সরকারের দীর্ঘ সাড়ে দশ বছরের একটানা শাসনামলে উন্নয়নের চলমান প্রক্রিয়ায় ম্যাক্রো-ইকোনমিক ম্যানেজমেন্টে উন্নয়নসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে উন্নতি সাধিত হয়েছে।
অবকাঠামোগত উন্নয়নে ঈর্ষণীয় সাফল্য এসেছে। বহুমুখী পদ্মা সেতু নির্মাণসহ বেশ কিছু বড় বড় উন্নয়নমূলক কাজ হাতে নেয়া হয়েছে, যা ইতঃপূর্বের সরকারগুলোর কাছে তেমন গুরুত্ব পায়নি। জিডিপির পরিমাণ বেড়েছে। জিডিপিতে প্রবৃদ্ধির হার গত কয়েক বছরের ৬ থেকে ৬ দশমিক ৫ শতাংশের বৃত্ত থেকে বেরিয়ে এসেছে।
চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরে তা ৮ শতাংশ ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করা যায়। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে মাথাপিছু জাতীয় আয় দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৯০৯ মার্কিন ডলারে, যা ২০০৮-০৯ অর্থবছরে ছিল ৬৯০ মার্কিন ডলার (সূত্র : বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০০৯ এবং ২০১৯)।
ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ উন্নয়নের ফলে শীর্ষ ২০ দেশের তালিকায় স্থান পেয়েছে বাংলাদেশ। কমেছে দারিদ্র্যের হার। সাক্ষরতার হার (৭ বছর+) ৭২ দশমিক ৩ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে ছাত্রছাত্রীর সমতা এসেছে।
উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়েও সমতা অর্জনের পথে। সুপেয় পানি গ্রহণকারীর সংখ্যা ৯৮ শতাংশে পৌঁছেছে। স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা ব্যবহারকারীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭৬ দশমিক ৮ শতাংশে। স্বাস্থ্য খাতে উন্নতির ফলে এক বছরের কম বয়সী শিশুমৃত্যুর হার (প্রতি হাজার জীবিত জন্মে) ২৪-এ নেমে এসেছে। কমেছে মাতৃমৃত্যুর হার। মানুষের প্রত্যাশিত গড় আয়ুষ্কাল বেড়ে ৭২ বছর হয়েছে।
আওয়ামী লীগের এসব অর্জন ম্লান হয়ে যাওয়ার জন্য অল্প কয়েকজনের অপকর্ম দায়ী বলে দলটির সিনিয়র নেতারা সম্প্রতি যে দাবি করেছেন তা আংশিক সত্য। আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠন যুবলীগ নেতা ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট, খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া, জি কে শামীম প্রমুখ বেআইনি ক্যাসিনো ব্যবসা পরিচালনাসহ নানা অপকর্মে জড়িত থেকে অগাধ সম্পদের মালিক হয়েছেন। দলটির অনেক বড় নেতা এবং প্রশাসনের অনেকে তাদের টাকার ভাগ পেয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
তবে এসব কার্যকলাপ আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণের জন্য খুব বেশি দায়ী বলে মনে হয় না। আসলে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী দল আওয়ামী লীগ স্বাধীনতার পর থেকেই ভাবমূর্তি সংকটে ভুগছে। স্বাধীনতার পরপরই যেসব কারণে শাসক দল আওয়ামী লীগ ভাবমূর্তি সংকটে পড়ে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে- ১৯৭৩ সালে অনুষ্ঠিত দেশের প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলটির ক্ষমতার অপব্যবহার (যেমন: বিরোধী দলের প্রার্থীকে ভয়ভীতি প্রদর্শন এবং রাষ্ট্রীয় প্রচারব্যবস্থা ও যানবাহনসহ প্রশাসনযন্ত্রকে ব্যবহার), ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষ মোকাবেলায় অব্যবস্থা, অবাধ দুর্নীতি, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতা, জরুরি অবস্থা জারি এবং সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে ১৯৭৫ সালের জানুয়ারি মাসে বহুদলীয় সংসদীয় গণতন্ত্র থেকে একটি মাত্র জাতীয় দল (বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ-বাকশাল) ভিত্তিক রাষ্ট্রপতিশাসিত সরকার পদ্ধতি প্রবর্তন।
দুই. নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার অধীন জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবিতে ১৯৯৪ ও ১৯৯৫ সালে তৎকালীন প্রধান বিরোধী দল আওয়ামী লীগের দুর্বার আন্দোলনের প্রতি সম্মান জানিয়ে বিএনপি সরকার প্রবর্তিত নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতির অধীন ১৯৯৬ সালের জুনে অনুষ্ঠিত সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী হয়ে আওয়ামী লীগ ২১ বছর পর শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার গঠন করলেও তারা দুর্নীতির ঊর্ধ্বে উঠতে পারেনি। অবাধ দুর্নীতি সংঘটিত হওয়ার ফলে আওয়ামী লীগের ওই সরকারের শাসনামলের (১৯৯৬-২০০১) শেষ বছর অর্থাৎ ২০০১ সালে বাংলাদেশ প্রথমবার দুর্নীতিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়, যা আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তিকে ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে। তিন. আওয়ামী লীগ সরকার কর্তৃক বাতিলকৃত জাতীয় সংসদ নির্বাচনকালীন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহালের দাবি আদায়ে ব্যর্থ হয়ে তৎকালীন বিরোধী দল বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৯ দলীয় জোট এবং সমমনা কয়েকটি দল দশম সংসদ নির্বাচন বর্জন করলে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা সংসদের মোট আসনের দুই-তৃতীয়াংশে বেশি আসনে বিজয়ী বলে ঘোষিত হন। এ নির্বাচনের সবচেয়ে বড় নেতিবাচক দিকটি হল, একদলীয় এ নির্বাচনে জাতীয় সংসদের মোট ৩০০ আসনের ১৫৪টি আসনে মূলত শাসক দল আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বি^তায় সদস্য হিসেবে নির্বাচন। একদলীয় এ নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক না হওয়ায় এবং এতে জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার বিশ্বাসযোগ্য প্রতিফলন না ঘটায় দেশে-বিদেশে সমালোচনার ঝড় ওঠে। লন্ডনের বিখ্যাত ইকোনমিস্ট পত্রিকার এক প্রতিবেদনে মন্তব্য করা হয়, বাংলাদেশে গণতন্ত্র পচে গেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ গণতান্ত্রিক বিশ্ব একতরফা ও ভোটারবিহীন নির্বাচনে জয়ী ও সরকার গঠনকারী দল আওয়ামী লীগকে বিএনপি ও অন্য সব দলের সঙ্গে আলোচনা করে নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরামর্শ দেয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাস্তব অবস্থা উপলব্ধি করে নির্বাচনোত্তর এক সংবাদ সম্মেলনে আলোচনার মাধ্যমে নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রতিশ্রুতি দিলেও পরবর্তী সময়ে তিনি তার সে প্রতিশ্রুতি থেকে সরে আসেন। এতে আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি অনেকটা ক্ষুণ্ণ হয়।
চার. একাদশ জাতীয় নির্বাচন (৩০ ডিসেম্বর ২০১৮) অংশগ্রহণমূলক হলেও সুষ্ঠু হয়নি। এ নির্বাচনে যেসব অনিয়মের অভিযোগ ওঠে সেগুলোর মধ্যে সবচেয়ে গুরুতর অভিযোগটি হল নির্বাচনের জন্য নির্ধারিত দিনের আগের রাতেই স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সহায়তায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের অনুকূলে ব্যালট বাক্সে ভোট প্রদান সম্পন্ন করা। এ নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগে বঞ্চিত জনগণের সিংহভাগ চলতি বছরের প্রথমার্ধে ছয় ধাপে অনুষ্ঠিত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি। অর্থাৎ জনগণ জাতীয় ও স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর নির্বাচনের ওপর আস্থা হারিয়ে ফেলেছে।
এতে শাসক দল আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
পাচ. আওয়ামী লীগের একটানা সাড়ে দশ বছরের শাসনামলে মানবতাবিরোধী অপরাধ, গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যা, হেফাজতে নির্যাতনসহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা অতীতের সব রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। জাতিসংঘের নির্যাতনবিরোধী কমিটির সাম্প্রতিক রিপোর্টে এসব বিষয়ের ওপর বিস্তারিত বর্ণনা রয়েছে।
রিপোর্টের এক জায়গায় বলা হয়েছে, ‘রাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের মাধ্যমে ব্যক্তির স্বাধীনতা নির্বিচারে হরণ, পরে তাদের অনেককে হত্যা এবং তাদের অবস্থান বা ভাগ্যে কী ঘটেছে তা প্রকাশের ক্ষেত্রে ব্যর্থতার যে অসংখ্য সঙ্গত খবর পাওয়া যায়, তা নিয়ে কমিটি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন’। রিপোর্টের অন্যত্র বলা হয়েছে, ‘নিরাপত্তা বাহিনীগুলো, গোয়েন্দা সংস্থাগুলো এবং পুলিশবাহিনীর সদস্যদের ক্ষমতার অতিরিক্ত ব্যবহারের ঘটনার নিয়মিত অভিযোগগুলোর বিষয়ে কমিটি খুবই উদ্বিগ্ন। সাম্প্রতিক ও অতীতের নির্বাচনের সঙ্গে সম্পর্কিত ঘটনায় কর্তৃপক্ষের ঘটানো নানা সহিংসতার বিষয়ে পাওয়া প্রতিবেদনের ব্যাপারেও কমিটি উদ্বিগ্ন, এর মধ্যে রয়েছে বিক্ষোভকারীদের ওপর চালানো হামলা, পোলিং সেন্টার দখল করা এবং হুমকি দিয়ে ও সহিংসতার মাধ্যমে ভোট দমিয়ে রাখা।’ আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণে মানবাধিকার ভূলুণ্ঠিত হওয়ার ঘটনাগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
সাড়ে ১০ বছর আওয়ামী লীগের বিরতিহীন শাসনামলে দলটি ক্ষমতা ও অর্থের উৎসে পরিণত হয়েছে। নিজেদের অপরাধ ঢাকতে বা নিজেদের স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে অন্য রাজনৈতিক দল বা অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী, ব্যবসায়ী, ঠিকাদার, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ও শিক্ষক, সরকারি, আধা-সরকারি, স্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারী, সংবাদকর্মী, সংস্কৃতিকর্মী অনেকে আওয়ামী লীগ বা দলটির অঙ্গসংগঠনে ভিড়েছেন বা ভেড়ার চেষ্টা করছেন।
চলমান অভিযানে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, এদের অনেকে বেআইনি ক্যাসিনো ব্যবসা পরিচালনা, টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজিসহ নানা রকম দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছেন। কারণ এদের কাছে আওয়ামী লীগের আদর্শ গৌণ, তাদের মুখ্য উদ্দেশ্য হল নিজ নিজ স্বার্থ হাসিল করা।
অনেকে মনে করেন, দলীয় নিয়ন্ত্রণের ব্যর্থতা তাদের আজকের অবস্থানে নিয়ে এসেছে। তা ছাড়া দুর্নীতি এখন সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে, তা হোক বন্যাদুর্গতদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ বা আর্থিক সহায়তা প্রদান, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির উপকারভোগীর তালিকা প্রণয়ন, সরকারি খাতে অবকাঠামো নির্মাণ, জাতীয় সেবা খাতে সেবা প্রদান, ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনা, সরকারি, আধা-সরকারি, স্বশাসিত প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ বা পদোন্নতি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরিচালনা কমিটি গঠন, জাতীয় ও স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানে নির্বাচন অনুষ্ঠান সর্বত্র দুর্নীতি বাসা বেঁধেছে এবং এসব দুর্নীতিবাজের প্রায় সবাই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ বা দলটির অঙ্গসংগঠনগুলোর নেতাকর্মী। এদের সবার বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে হলে আওয়ামী লীগকে দল টিকিয়ে রাখার ঝুঁকি নিতে হবে। আওয়ামী লীগ হাইকমান্ড তা বোঝেন।
তাই মূলত রাজধানীতে বেআইনি ক্যাসিনো ব্যবসার মালিকসহ বিভিন্ন ‘অপকর্মে’ জড়িতদের বিরুদ্ধে চলমান অভিযান বেশি দূর এগিয়ে যাওয়ার বা রাজধানীর বাইরে সম্প্রসারিত হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।
রাজধানীভিত্তিক ক্যাসিনো ব্যবসার মালিক ও দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে চলমান অভিযান আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি হয়তো কিছুটা উজ্জ্বল করবে। তবে দলটির ভাবমূর্তি পুরোপুরি উজ্জ্বল করতে অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে যা করা প্রয়োজন তা হল- নজিরবিহীন অনিয়মের মধ্য দিয়ে গঠিত বর্তমান জাতীয় সংসদ ভেঙে দিয়ে অবিলম্বে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান, গণতন্ত্রের প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ, গণতন্ত্র ও উন্নয়নের সহাবস্থান, মানবতাবিরোধী সব অপরাধের অবসান এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন ও বাংলাদেশের সংবিধান স্বীকৃত মানবাধিকার ও মৌলিক অধিকার সংরক্ষণ।
লেখক: সাবেক সচিব, কলাম লেখক
[email protected]