বিতর্কিত নাগরিকত্ব তালিকা (এনআরসি) ইস্যুতে বাংলাদেশকে আবারও আশ্বস্ত করেছেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেছেন, এটি আমাদের অভ্যন্তরীণ ইস্যু।
শনিবার (৫ অক্টোবর) নয়াদিল্লির হায়দ্রাবাদ হাউসে সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে এ আশ্বাস দেন নরেন্দ্র মোদী। পরে সন্ধ্যায় বাংলাদেশের পররাষ্ট্রসচিব মো. শহীদুল হক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান।
শহীদুল হক বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আশ্বস্ত করেছেন, এটি ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। নরেন্দ্র মোদী এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ব্যাখ্যা করেছেন।
আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের সুযোগ আছে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রসচিব বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক খুবই ভালো। উষ্ণ ও বন্ধত্বপূর্ণ।
জাতিগত নিধনের শিকার, নির্মম নির্যাতনের মুখে জোরপূর্বক বিতাড়িত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের মাতৃভূমিতে প্রত্যাবর্তন বিষয়ে মিয়ানমারকে রাজি করাতে ভারতকে ভূমিকা রাখার অনুরোধ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এক্ষেত্রে মিয়ানমারের সঙ্গে সুসম্পর্ককে কাজে লাগানোর অনুরোধ করেন তিনি।
শহীদুল হক বলেন, রোহিঙ্গাদের রাখাইনে ফিরে যেতে দুই প্রধানমন্ত্রী সম্মত হয়েছেন।
এর আগে গত ২৭ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইর্য়ক সফরের সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকেও এনআরসি ইস্যুতে বাংলাদেশের উদ্বেগের কিছু নেই বলে আশ্বাস দেন নরেন্দ্র মোদী।
ভারতের উত্তর–পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামে জাতীয় নাগরিক তালিকা (এনআরসি) চুড়ান্ত করার পর ১৯ লাখের বেশি মানুষ তাদের নাগরিকত্ব হারিয়েছেন। যাদের প্রায় সবাই বাংলা ভাষী মুসলমান ও হিন্দু।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাই কমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী ও প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম।