logo
আপডেট : 13 October, 2019 21:21
দেশের স্বাধীনতা অর্জনে ছাত্ররাই সবচেয়ে বড় অবদান রেখেছে: হানিফ
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, সিলেট

দেশের স্বাধীনতা অর্জনে ছাত্ররাই সবচেয়ে বড় অবদান রেখেছে: হানিফ

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এমপি মহাবুবুল আলম হানিফ বলেছেন, দেশের স্বাধীনতা অর্জনে ছাত্ররাই সবচেয়ে বড় অবদান রেখেছে। তাই ছাত্র রাজনীতি বন্ধ না করে বরং শিক্ষকরা পেশাজীবি রাজনীতি বন্ধ করুণ। 

রোববার ( ১৩ অক্টোবর) মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলায় আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

তিনি  বলেন, ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করার জন্য এক শ্রেনির লোক উঠেপড়ে লেগেছে। কিন্তু ছাত্র রাজনীতির গৌরবউজ্জল একটা ইতিহাস আছে। শিক্ষকরা পেশাজীবি রাজনীতিতে যুক্ত হওয়ার কারণে ছাত্রদের কাছ থেকে তারা সম্মান হারাচ্ছেন। দলীয় লেজুরবৃত্তির রাজনীতির কারনে ছাত্রদের উপর থেকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছেন শিক্ষকরা। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের উপর ক্ষোভপ্রকাশ করে তিনি বলেন, ছাত্ররা এখন আর শিক্ষকদের সন্মান করে না। আজকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা ভিসি হওয়ার জন্য বিভিন্ন পদপদবী পাওয়ার জন্য লবিং করেন। 

হানিফ বলেন, এলপিজি গ্যাস আমাদের দেশে তৈরী হয় না। বিদেশ থেকে আমদানী করে এটাকে দেশে প্রক্রিয়াজাত করে সিলিন্ডারে করে বিক্রি করা হয়। সেই এলপিজি গ্যাস বিদেশ থেকে আমদানি করে প্রক্রিয়াজাত করে সিলিন্ডারে করে পাশ্ববর্তী দেশ ভারতের ত্রিপুরাসহ আশেপাশের অঙ্গরাজ্যগুলোতে আমরা রপ্তানি করবো।আমরা দেশে ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট করব। এতে দেশের ক্ষতি হবে না। 

তিনি বিএনপি’র সমালোচনা করে বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্বে বিশ্বাসী ছিলেন না। ১৯৭১ সালে তাকে এক প্রকার জোর করে স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করানো হয়েছিল। তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়ে ছিলেন পাকিস্থানের এজেন্ট হিসেবে। ১৯৭৫ সালে জাতীর জনক বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরপরই তার সব কিছু প্রমাণ হয়ে যায়। 

দলের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, দলকে আরও শক্তিশালী করতে আওয়ামী লীগের সকল স্তরের নেতা কর্মীদের একজোট হয়ে কাজ করতে হবে।

সম্মেলনে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধ আছকির মিয়ার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ মান্নানের সঞ্চালনায় উদ্বোধন করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এমপি নেছার আহমেদ। এই সময়  উপস্থিত ছিলেন -  আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আহমেদ হোসেন,  জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিছবাহুর রহমান, আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অধ্যাপক রফিকুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহীদ এমপি, সিলেট মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি বদর উদ্দিন কামরান প্রমুখ।

 


নিউইয়র্কমেইল/মৌলভীবাজার/১৩ অক্টোবর ২০১৯/অমিতা সিনহা /এইচএম