একদিন পরেই বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে শুরু হচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) সামিট। কিন্তু সম্মেলনের প্রধান এজেন্ডা ব্রেক্সিট চুক্তির সম্ভাবনা নিয়ে এখনো সংশয় রয়ে গেছে।
সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ও আইরিশ নেতা লিও ভেরাদকার দুদেশের সীমান্ত সংকট নিয়ে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন। যেটি নিয়ে সমঝোতা না হওয়া চুক্তির অন্যতম বাধা। তবে বিষয়টির সুরাহা হয়নি বলেই মনে হচ্ছে। কারণ প্রধান মধ্যস্থতাকারী মিশেল বার্নিয়ার বলছেন, এখনো বড় ধরনের মতপার্থক্য রয়ে গেছে ইইউ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে।
আগামী ১৯ অক্টোবরের মধ্যে ব্রেক্সিট চুক্তি নিয়ে সমঝোতা না হলে বরিস জনসনকে আবারও সময়ের আবেদন করতে হবে ইইউর কাছে। যদি যুক্তরাজ্য চুক্তিহীন ব্রেক্সিট এড়াতে চায়। ৩১ অক্টোবর যুক্তরাজ্য-ইউরোপীয় ইউনিয়নের সম্পর্কচ্ছেদ হওয়ার কথা রয়েছে।
এদিকে ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী অ্যান্তি রিনি স্পষ্ট করেই বলে দিয়েছেন, চুক্তির জন্য এখন আর পর্যাপ্ত সময় নেই।
তবে ব্রিটিশ সরকারের গৃহায়নমন্ত্রী রবার্ট জেনরিক এখনো চুক্তির সম্ভাবনা দেখছেন। তিনি বলেন, এ বিষয়ে অনেকটা অগ্রগতি হয়েছে। আলোচকরা নিবিড়ভাবে কাজ করছেন।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদিচ্ছা থাকলে দ্রুততম সময়ের মধ্যে চুক্তির বিষয়ে ঐক্যমতে পৌঁছা সম্ভব বলে মন্তব্য করেন কনজারভেটিভ পার্টির এই নেতা।
এছাড়া রানি এলিজাবেথ পার্লামেন্টে দেওয়া বক্তব্যে জানিয়েছেন, আগামী ৩১ অক্টোবরের মধ্যে ইইউ থেকে যুক্তরাজ্যের বিচ্ছেদে সরকার বদ্ধ পরিকর। বিজ্ঞান, মানসিক স্বাস্থ্য ও পরিবেশ রক্ষায় জনসন সরকারের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথাও উপস্থাপন করেন তিনি।