শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে ফিলিপাইনে। দেশের দক্ষিণাঞ্চলে আঘাত হানা ওই ভূমিকম্পের প্রভাবে ভূমিধস ও ভবন ধসে পড়ায় চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া আরও দশজনের মতো আহত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে দেশটির প্রতিরক্ষা দপ্তর জানায়, দাভাও দেল সুর প্রদেশের মাগসাইসাই শহরে ভূমিকম্পের কারণে সৃষ্ট ভূমিধসে দু'জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে আরও ১৮ জন।
ফিলিপাইন ইন্সটিটিউট অব ভলকানোলজি অ্যান্ড সিসমোলজি জানিয়েছে, বুধবার রাতে ৬ দশমিক ৩ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে।
নর্থ কোটাবাটো প্রদেশের তুলুনান থেকে ২২ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। ভূপৃষ্ঠ থেকে এর গভীরতা ছিল ৮ কিলোমিটার। শক্তিশালী ওই ভূমিকম্পের পর আরও দুই শতাধিক পরাঘাত (আফটারশক) অনুভূত হয়েছে।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ ভূমিকম্পের মাত্রা ৬ দশমিক ৪ বলে জানিয়েছে। এছাড়া ভূমিকম্পের গভীরতা ১৪ কিলোমিটার বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রতিরক্ষা দপ্তর জানিয়েছে, ভূমিকম্পের কারণে সৃষ্ট ভূমিধস এবং বিভিন্ন দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ২৭ জন আহত হয়েছে।
ফিলিপাইনের কিদাপাওয়ান শহরসহ বেশ কিছু এলাকা বিদ্যুৎবিচ্ছিন হয়ে পড়েছে। জেনারেল সান্তোস শহরের গাইসানো শপিংমলে ভূমিকম্পের পরপরই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। তবে এতে কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
নর্থ কোটাবাটো শহরের ভাইস মেয়র জোসেলিটো পিনল বলেন, ভূমিকম্পের সময় একটি হাসপাতাল থেকে রোগীদের নিরাপদে বের করে আনা হয়। ভূমিকম্পে ভাইস মেয়রের কার্যালয়সহ বেশ কিছু ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট রোদ্রিগো দুতের্তের পৈতৃক নিবাস দাভাও শহরসহ যেসব এলাকায় ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে সেখানকার সব স্কুল বৃহস্পতিবার বন্ধ রাখা হয়েছে। ভূমিকম্পের সময় রাজধানী ম্যানিলায় অবস্থান করছিলেন প্রেসিডেন্ট দুতের্তে।
ফিলিপাইন একটি দুর্যোগপ্রবণ এলাকা। সেখানে প্রায়ই ভূমিকম্প এবং টাইফুন আঘাত হানে। এর আগে ১৯৯০ সালে ফিলিপাইনের উত্তরাঞ্চলে ৭ দশমিক ৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে প্রায় দুই হাজার মানুষ প্রাণ হারায়।