সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চল থেকে কুর্দি বিদ্রোহীদের সরে যাওয়ার শর্তে যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে তুরস্ক।
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও তুরস্ক সফরে যান। সফরকালে আঙ্কারায় এক বৈঠকে তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যিপ এরদোগানের সঙ্গে তাদের এ চুক্তি হয়।
এক বিবৃতিতে পেন্স বলেন, চুক্তি অনুযায়ী আগামী পাঁচ দিনের জন্য সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সীমান্তে সবধরনের যুদ্ধ বন্ধ থাকবে। ওই অঞ্চল থেকে কুর্দি বিদ্রোহীদের হটিয়ে নিরাপদ ভূমি তৈরি করতে তুরস্ককে সাহায্য করবে যুক্তরাষ্ট্র।
তবে, কুর্দি বিদ্রোহীরা এ ব্যাপারে সম্মত হবে কি-না তা স্পষ্ট নয়।
কুর্দির পিপলস প্রোটেকশন ইউনিটের (ওয়াইপিজি) কমান্ডার মাজলৌম কোবানি বলেন, সীমান্তবর্তী রাস আল-আইন ও তাল আবিয়াদ অঞ্চল দু’টিতে সবচেয়ে বেশি সংঘর্ষ হয়েছে। তাই, চুক্তি মানা হচ্ছে কি-না দেখার জন্য আমরা এ দু’টি অঞ্চল পর্যবেক্ষণ করবো।
তিনি বলেন, অন্য এলাকাগুলোতে কী হবে, তা নিয়ে আমরা এখনো আলোচনা করিনি।
তুরস্কের যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্তে এরদোগানকে স্বাগতম জানিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক টুইটার বার্তায় বলেন, এটা অনেক ভালো সংবাদ। এতে, কয়েক লাখ মানুষের প্রাণ বেঁচে যাবে।
তিনি বলেন, তিন দিন আগেও এ সিদ্ধান্তে পৌঁছানো অসম্ভব বলে মনে হয়েছিল। কিন্তু, এ সিদ্ধান্ত নিতে কাজ করেছে ‘অদম্য ভালোবাসা’। এতে সবার জন্যই ভালো হলো। আমি সবাইকে নিয়ে গর্বিত।
এ ঘোষণা দেওয়ার সময় ভাইস প্রেসিডেন্ট পেন্স ট্রাম্পের ‘শক্তিশালী নেতৃত্বের’ প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, তিনি যুদ্ধবিরতি চেয়েছিলেন ও সহিংসতা বন্ধ করতে চেয়েছিলেন।
সিরিয়ায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত জেমস জেফরি এক বিবৃতিতে বলেন, কুর্দিযোদ্ধারা এ অঞ্চল ছাড়তে রাজি নাও হতে পারে। তবে, এখানে টিকে থাকার মতো সামরিক শক্তি তাদের নেই। তাই, এই যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত সবার জন্যই ভালো।
যুদ্ধবিরতির পর সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সীমান্তের ৩০ কিলোমিটার জুড়ে তৈরি হওয়া ‘নিরাপদ ভূমির’ নিয়ন্ত্রণ তুরস্কের হাতে থাকবে কি-না তা নিয়ে এখনো আলোচনা হয়নি বলে জানান তিনি।