সৌদি আরবে ওমরাহযাত্রী বহনকারী বাস দুর্ঘটনায় নিহত ৩৬ জনের ১১ জন বাংলাদেশি বলে জানা গেছে। শনিবার জেদ্দাস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেটের শ্রম কল্যাণ উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে। শ্রম কল্যাণ উইংয়ের প্রথম সচিব কে এম সালাহউদ্দিন স্বাক্ষরিত ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দুর্ঘটনাকবলিত গাড়িতে ১৩ জন বাংলাদেশি ছিলেন। যাদের দুইজন মদিনায় অবতরণ করেছেন, বাকি ১১ জন মক্কার যাত্রী হিসেবে বাসটিতে ছিলেন।
এরমধ্যে প্রাথমিকভাবে ১০ জনের নাম সংগ্রহ করা গেলেও বাস কর্তৃপক্ষ ইকামা নম্বর বা অন্যান্য কোনো তথ্য দিতে পারেনি বলে জানিয়েছে রিয়াদ বাংলাদেশ দূতাবাস।
মদিনার আল-মিকাত হাসপাতালে নিহতদের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে জানিয়ে আরো বলা হয়, স্বজনরা যোগাযোগ করলে ওই হাসপাতাল মরদেহ শনাক্ত করার ব্যাপারে সহযোগিতা করবে। তবে মরদেহগুলো নিজ দেশে বহন উপযোগী নয় বলেও জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সার্বিক অবস্থা পর্যালোচনা করে দেখা যাচ্ছে যে ডিএনএ টেস্ট ছাড়া কোনোভাবেই মৃত ব্যক্তিদের পূর্ণাঙ্গ তথ্য পাওয়া সম্ভব না।
বুধবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টায় মদিনা থেকে ১৭০ কিলোমিটার দূরে আল-আখহাল নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে ৩৫ জনের মৃত্যু হয়, আহত হন চারজন।
এদিকে, দার আল-মিকাত ওমরাহ এজেন্সির মালিক সৌদি প্রবাসী বাংলাদেশি সাংবাদিক শেখ লিয়াকত আহম্মেদকে জানান, দুর্ঘটনায় পড়া ওই বাসে ১১ জন পাকিস্তানী, ১৩ জন ভারতীয়, ৯ জন বাংলাদেশি, ৫ জন ইয়ামেনি যাত্রী ছিলেন। আর বাসের চালক ছিলেন সিরিয়ার নাগরিক।
জেদ্দার বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কর্মকর্তারা বলছেন, বাসযাত্রার শুরুতে ১৩ জন বাংলাদেশি ওই দলে ছিলেন বলে তারা তথ্য পেয়েছেন। তাদের মধ্যে কয়েকজন পরে নেমে যেতে পারেন।
কনসাল জেনারেল এফ এম বোরহানউদ্দিন বলেন, ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে নিহতদের পরিচয় নিশ্চিত হতে আমরা সৌদি প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছি।