ভারতের সরকারি ঘোষণার তিনমাস পর অবশেষে আনুষ্ঠানিকভাবে কেন্দ্রশাসিত দুটি অঞ্চলে ভাগ করা হলো ভারতনিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরকে।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হয়।
নতুন মানচিত্র অনুসারে জম্মু-কাশ্মীর একটি স্বতন্ত্র অঞ্চল এবং চীনের সীমান্তবর্তী লাদাখ আরেকটি স্বতন্ত্র অঞ্চল হিসেবে স্বীকৃত। পূর্বে স্বায়ত্তশাসিত থাকলেও এখন থেকে এ দুটি অঞ্চলই সরাসরি কেন্দ্র, অর্থাৎ দিল্লি থেকে শাসন করা হবে।
বৃহস্পতিবার সকালে গুজরাটে এক জনসমাবেশে জম্মু-কাশ্মীর ভাগের এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, এখন থেকে সত্যিকার অর্থেই ( ভারতের সঙ্গে জম্মু-কাশ্মীরের) সমবায়ী অংশগ্রহণ দৃশ্যমান হবে। নতুন মহাসড়ক, নতুন রেলপথ, নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল জম্মু কাশ্মীরের মানুষের উন্নয়নকে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে।
চলতি বছরের আগস্টে ভারত সরকার একপাক্ষিককভাবে সংবিধানে রক্ষিত জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা রদের ঘোষণা দেয়। তাতে স্বায়ত্তশাসনের সুযোগ হারিয়ে কেন্দ্রশাসিত হয়ে পড়ে এ অঞ্চল। যে কোনো রাজ্যের তুলনায় কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলো অনেক কম মাত্রায় স্বায়ত্তশাসনের সুযোগ পায়।
ওই ঘোষণার পর থেকেই ক্ষোভের আগুনে জ্বলছে ভূ-স্বর্গখ্যাত এ জনপদ। ভারত ও পাকিস্তান দুই দেশই পুরো কাশ্মীরকে নিজেদের বলে দাবি করে। ফলে দিল্লির এ সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে ইসলামাবাদও।
৮০ লাখ মানুষের কাশ্মীর মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ, অন্যদিকে ৬০ লাখ মানুষের জম্মু হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ। এছাড়া ৩ লাখ মানুষের লাদাখে প্রায় সমান সংখ্যক মুসলমান ও বৌদ্ধ বাস করে।