ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে মালয়েশিয়ায় প্রবাসী বাংলাদেশিদের এনআইডি কাজের উদ্বোধন করলেন প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী ইমরান আহমেদ।
দীর্ঘদিন প্রবাসে অবস্থান করে বঞ্চিত বাংলাদেশীদের এনআইডি কার্ডের উদ্বোধনের মাধ্যমে প্রবাসীদের চাওয়া-পাওয়ার প্রতিফলন ঘটেছে বলে উল্লেখ করেন প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী।
এসময় মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজ বাংলাদেশ বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে। এছাড়াও ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী প্রবাসীদের এনআইডি কার্ড প্রদান করা হচ্ছে।
মালয়েশিয়া প্রান্ত থেকে বক্তব্য রাখেন, মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মহ.শহীদুল ইসলাম, প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সেলিম রেজা, ডেপুটি হাইকমিশনার ওয়াহিদা আহমেদ, মালয়েশিয়া প্রবাসীদেও পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন, জামিল হোসেন, রেজাউল করিম রেজা, মকবুল হোসেন মুকুল।
বাংলাদেশী নাগরিকরা যাতে প্রবাসে থেকেও বাংলাদেশের স্বাদ গ্রহণ করতে পারে তারই একটি উদ্যোগ এনআইডি কার্ড। ভোটার হওয়ার যোগ্য প্রায় ৯০ লাখ বাংলাদেশি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাস করছেন। দেশের ভোটার তালিকায় তাদের অন্তর্ভুক্ত করার কার্যক্রম ৫ নভেম্বর মালয়েশিয়ায় প্রথম এই কার্যক্রম শুরু হলো। রাজধানী ঢাকা থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই কার্যক্রম উদ্বোধন করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা।
মালয়েশিয়ায় অনুষ্টানে উপস্থিত ছিলেন, নির্বাচন কমিশনের এডিশনাল সেক্রেটারি মো: মুখলেছুর রহমান। প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন, যুগ্ম-সচিব ফজলুল করিম, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক মো: আজিজুর রহমানএবং বিএমইটির পরিচালক মো: নুরুল ইসলাম, হাইকমিশনের শ্রম কাউন্সিলর মো. জহিরুল ইসলামসহ অন্যান্য কর্মকর্তা ও বিপুল সংখ্যক প্রবাসীরা।
মালয়েশিয়া ছাড়াও যুক্তরাজ্য, দুবাই ও সৌদি আরবের প্রবাসীরা এ সুযোগ পাবেন। পরে পর্যায়ক্রমে অন্যান্য দেশে অবস্থানরত বাংলাদেশিরাও এ সুযোগ পাবেন। এ জন্য ইতোমধ্যে ভোটার তালিকা বিধিমালায় প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনা হয়েছে।
ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ইসি সচিবালয়, প্রবাসী বাংলাদেশিরা এই services.nidw.gov.bd ওয়েবসাইটে গিয়ে ভোটার হিসেবে নিবন্ধনের আবেদন পারবেন। আবেদনের পর সেসব আবেদন সঠিক কি না, ইসি তা কেন্দ্রীয়ভাবে যাচাই করবে। যাচাই-বাছাই শেষে ইসির কর্মকর্তারা সংশ্লিষ্ট দেশে গিয়ে যোগ্য ও সঠিক আবেদনকারীদের ছবি তোলাসহ ফিঙ্গার প্রিন্ট ও চোখের মনির ছাপ (আইরিশ) গ্রহণ করবেন।
এ ছাড়া প্রবাসীদের ফরম পূরণের ক্ষেত্রে আটটি তথ্য দিতে হবে। সেগুলো হলো- পিতা-মাতার নাম ইংরেজি ও বাংলায়, বসবাসরত দেশের নাম, জিপকোড, বাসা ও হোল্ডিং নম্বর, স্ট্যাট বা প্রদেশ, ফোন নম্বর, শনাক্তকারী ব্যক্তির নাম প্রভৃতি। এ ছাড়া পাসপোর্ট নম্বরও উল্লেখ করতে হবে।