সারা বিশ্বে সম্প্রীতির বন্ধন ছড়িয়ে দেয়ার আহ্বান জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ‘সিলেটে ধর্মীয় সম্প্রীতি ঐতিহ্য শত শত বছরের। এটি বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলেও রয়েছে।’
শুক্রবার (৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে ‘সিলেটে রবীন্দ্রনাথ : শতবর্ষ স্মরণোৎসব’ এর সমাপনীতে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী একথা বলেন।
উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক, সাবেক মন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ড. মোমেন আরও বলেন, ‘সিলেটে প্রায় তিন বছর আগে বেঙ্গল উৎসব হয়েছিল। এবার রবীন্দ্রনাথ স্মরণোৎসব হলো, যা সিলেটের সর্ববৃহৎ উৎসব। সিলেট সব সময়ই আলাদা।’
তিনি বলেন, ‘শতবর্ষ পূর্বে রবীন্দ্রনাথ যখন সিলেটে আসেন, তখন তাকে মুসলিম, হিন্দু, খ্রিস্টান সবাই স্বাগত জানায়। এর মাধ্যমে একটি কথা পরিষ্কার হয়, বরীন্দ্রনাথ ছিলেন সকল ধর্মের মানুষের প্রিয় কবি, বাঙালির কবি। শতবর্ষ পরেও আবার হিন্দু, মুসলিম সবাই একাত্ম হয়ে রবীন্দ্র স্মরণোৎসব উদযাপন করেছেন।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সারা বিশ্বে যুদ্ধ, হানাহানি লেগেই আছে। আমরা চাই, বিশ্বের প্রতিটি রাষ্ট্রে, প্রতিটি অঞ্চলে শান্তি স্থাপিত হোক। এসব হানাহানি, ভেদাভেদ প্রশমনে বাংলাদেশ হতে পারে ধর্মীয় সম্প্রীতি ও শান্তির রোল মডেল।
উৎসবের শেষ দিনের এই অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, সিলেটের সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী।
বিকেল ৪টায় জাতীয় সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে শুরু হয় রবীন্দ্র স্মরণোৎসবের শেষ দিনের অনুষ্ঠান। একক ও সম্মিলিত আবৃত্তি, নৃত্য, সঙ্গীত ও আলোচনা ছিল শেষ দিনের অনুষ্ঠান সূচিতে।
সঙ্গীত পরিবেশন করেন রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা, লাইসা আহমেদ লিসা, অনুপম কুমার পাল, অসীম দত্ত, ভারতের পদ্মশ্রী পূর্ণদাস বাউল, অগ্নিভ বন্দোপ্যাধ্যায় প্রমুখ।