ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলায় দুটি আন্তঃনগর ট্রেনের সংঘর্ষে ১৫ জন নিহত হয়েছেন। আরও যাত্রী মারা যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সোমবার দিবাগত রাত ২ টা ৪৮ মিনিটে উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনটি তূর্ণা নিশীথাকে সাইড দিচ্ছিল। তখন উদয়ন ট্রেনের অর্ধেক বগি অন্য লাইনে ঢোকার পর বাকি বগিগুলোতে তূর্ণা নিশীথা ধাক্কা দেয়। এতে দুটি বগি দুমড়ে-মুচড়ে যায়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক হায়াত উদ দৌলা জানান, উদ্ধার তৎপরতা চালানো হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ১৫ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনাস্থলের কাছে একটি অস্থায়ী ক্যাম্প খোলা হয়েছে।
স্টেশন ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, তূর্ণা নিশীথা ট্রেনের চালক সিগন্যাল (সংকেত) অমান্য করায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। মন্দবাগ রেলস্টেশনে দাঁড়ানোর জন্য এই সিগন্যাল দেওয়া হয়। ওই সিগন্যালে সিলেট থেকে ছেড়ে আসা চট্টগ্রামগামী উদয়ন এক্সপ্রেস প্রধান লেন থেকে ১ নম্বর লাইনে যেতে শুরু করে। ট্রেনটির ছয়টি বগি ১ নম্বর লাইনে উঠতে পেরেছিল। অন্য বগিগুলো প্রধান লেনে থাকা অবস্থায় তূর্ণা নিশীথা সিগন্যাল অমান্য করে। এতে তূর্ণা নিশীথার একাধিক বগি ওই ট্রেনের কয়েকটি বগির ওপর উঠে যায়। এতে উদয়নের তিনটি বগি দুমড়েমুচড়ে যায়। নিহত ১৫ জন সবাই উদয়নের যাত্রী বলে ধারণা করা হচ্ছে।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানিয়েছে, ঘটনাস্থলের কাছে বায়েক শিক্ষা সদন উচ্চবিদ্যালয়ে একটি অস্থায়ী ক্যাম্প খোলা হয়েছে। সেখানে ৯টি মৃতদেহ রয়েছে। কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তিনটি মৃতদেহ রয়েছে। এর মধ্যে একজন পুরুষ, একজন নারী ও একটি শিশু। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে নারী ও পুরুষের দুটি লাশ রয়েছে। আর কুমিল্লা জেলা সদর হাসপাতালে একজন পুরুষের লাশ রয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে নিহত কারও পরিচয় জানা যায়নি।
ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ, রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় অধিবাসীরা উদ্ধারকাজ চালাচ্ছেন।
দুর্ঘটনার পর মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত ঢাকার সঙ্গে চট্টগ্রাম ও সিলেটের রেলযোগাযোগ বন্ধ ছিল।