শ্রীলঙ্কায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে।স্থানীয় সময় শনিবার সকাল ৭টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়। চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত।
দক্ষিণ এশিয়ার এ দ্বীপ দেশে এটি অষ্টম এবং ২০০৯ সালে কয়েক দশকের গৃহযুদ্ধ শেষ হওয়ার পর এটি তৃতীয় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন।
ভোটার সংখ্যা প্রায় এক কোটি ৬০ লাখ। সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
এ বছরের ২১ এপ্রিল শ্রীলঙ্কায় ভয়াবহ সিরিজ বোমা হামলা হয় যাতে নিহত হন আড়াই শতাধিক মানুষ। ওই হামলার ক্ষত এখনও তাড়া করে ফেরে লঙ্কানদের।
এর দায় স্বীকার করে আন্তর্জাতিক জঙ্গিগোষ্ঠী আইএস। ভয়াবহ ওই হামলার পর উত্তেজিত জনতার হামলা-অগ্নিসংযোগের শিকার হয় সে দেশের মুসলমানরা।
সে কারণে এবারের নির্বাচনে নজিরবিহীন নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। দেশব্যাপী ১২ হাজার ৮৪৫ ভোটকেন্দ্রের জন্য ৮৫ হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মোট ৩৫ প্রার্থী। বর্তমান প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিসেনা এবার নির্বাচন করছেন না। ইস্টার সানডের হামলার পর ব্যাপক সমালোচনার মুখে তিনি নির্বাচনে না দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন।
ফলে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে ক্ষমতাসীন ইউনাইটেড ন্যাশনাল পার্টি (ইউএনপি)-এর সাজিথ প্রেমাদাসা এবং বিরোধী দল শ্রীলঙ্কা পিপলস ফ্রন্ট (এসএলপিপি)-এর গোটাবায়া রাজাপাকসের মধ্যে।
সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী গোটাবায়া দুই মেয়াদে ক্ষমতায় থাকা মাহিন্দা রাজাপাকসের ভাই। অন্যদিকে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থী সাজিথ প্রেমাদাসা সে দেশের সাবেক প্রেসিডেন্ট রানাসিংহে প্রেমাদাসার ছেলে। সংখ্যালঘু তামিল ও মুসলিম সম্প্রদায়ের কাছে তিনি জনপ্রিয়। রানাসিংহে প্রেমাদাসা ১৯৯৩ সালে গেরিলাদের আত্মঘাতি বোমা হামলায় নিহত হন।
বিশ্লেষকদের মতে ভূ-রাজনৈতিক অবস্থানের কারণে শ্রীলঙ্কার নির্বাচন নিয়ে এ অঞ্চলের দুই প্রভাবশালী দেশ ভারত ও চীনের আগ্রহ রয়েছে। ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থী সাজিথ প্রেমাদাসাকে পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে দেখতে চায় নরেন্দ্র মোদির সরকার। অন্যদিকে বেজিংয়ের প্রত্যাশা বিরোধী দলের গোটাবায়া রাজাপাকসের বিজয়।