কয়েক সপ্তাহ ধরে চলমান সরকারবিরোধী আন্দোলনের মুখে চিলির সরকার দেশটির সংবিধান পরিবর্তনের জন্য এপ্রিলে গণভোট আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) দীর্ঘ দরকষাকষি শেষে সরকারি কর্তৃপক্ষ ও আন্দোলনকারীদের মধ্যে ‘এগ্রিমেন্ট ফর পিস এন্ড নিউ কনস্টিটিউশন’ স্বাক্ষরিত হয়েছে।
এর আগে, চিলিতে সামাজিক সংস্কার এবং অগাস্টো সামরিক শাসনামলে প্রণীত সংবিধানের পরিবর্তন চেয়ে আন্দোলনকারীরা চিলির রাস্তায় নেমে আসে। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে অন্তত ২০ জনের মৃত্যু এবং ১ হাজার আহত হওয়ার ঘটনা ঘটে।
দেশটির নিরপেক্ষ জাতীয় মানবাধিকার ইন্সটিটিউট জানিয়েছে, ইতোমধ্যেই তারা চিলির মিলিটারি পুলিশের বিরুদ্ধে হত্যা, যৌন নিপীড়ন ও শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগে ১৭৯ মামলা দায়ের করেছে।
২০২০ সালের এপ্রিলে অনুষ্ঠিতব্য ওই গণভোটে জনগণের সামনে প্রশ্ন থাকবে – তারা সংবিধানের পরিবর্তন চায় কি না? এর পাশাপাশি মতামত চাওয়া হবে নির্বাচিত কর্তৃপক্ষ, রাজনৈতিক কর্তৃপক্ষ এবং উভয়ের সম্মিলিত কর্তৃপক্ষের মধ্যে তারা কোন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে সংবিধানের পরিবর্তন প্রত্যাশা করে?
প্রসঙ্গত, চিলির বর্তমান সংবিধানে জনগণের শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য সংক্রান্ত ইস্যুতে রাষ্ট্রের কোনো দায় দায়িত্ব ছিল না। কিন্তু আন্দলোনকারীরা সামাজিক সংস্কার প্রস্তাবের অধীনে এই দুইটি জনগুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে রাষ্ট্রকে ভূমিকা নেওয়ার দাবি জানান।
আন্দোলনকারীদের দাবির কাছে নতি স্বীকার করে চিলির সরকার এপ্রিলে গণভোট আয়োজনের কথা ঘোষণা করল।