সিলেটে অপরিকল্পিতভাবে জামে মসজিদের মিনার ধ্বংসে চারজন পথচারী আহত হয়েছে। এ ঘটনায় বহুমানুষের প্রাণহানির আশঙ্ক থাকায় জনমনে ক্ষোভ বিরাজ করেছে পুরো নগর জুড়ে।
সোমবার (২ ডিসেম্বর) সকাল থেকে নগরীর নয়াসড়কের পয়েন্টে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে জামে মসজিদের মিনার ধ্বংস করার কাজ চলছিল হয় পুননির্মাণের জন্য। এ সময় সিসিকের কর্মীরা একটি বুল ডোজার দিয়ে মিনারটির উপরিভাগ পরিপূর্ণভাবে ধ্বংস না করে নিচের অংশ ধ্বংস করতে থাকে। বেলা ১১টা ৪০মিনিটের দিকে চৌরাস্তায় মধ্যে মসজিদের মিনাটির ভেঙ্গে পরলে ঘটনাস্থলে চারজন পথচারী আহত হয় আর একটি মোটরসাইকেল ভেঙে যায়। এসময় পুরো নগর জুড়ে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন ছিল।
আতঙ্কে রাস্তায় সাধারণ জনতা ভীড় করতে থাকে। নগর জুড়ে সৃষ্টি হয় যানজট।
এদিকে খবর পেয়ে পুলিশ, র্যাব ও সিটি কর্পোরেশনের কর্মীরা উদ্ধার কাজে ফায়ার সার্ভিসের সহযোগীতায় তাৎক্ষণিকভাবে আহতদের উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান চিকিৎসাধীনের জন্য।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। তিনি বলেন, মসজিদের মিনার ভেঙে ফেলার সময় যারা আহত হয়েছে তাদেরকে সুচিকিৎসা দেওয়া হবে সিসিকের পক্ষ থেকে আর যাদের মোটরসাইকেল ভেঙে গেছে তাদের ক্ষতিপূরণও দেওয়া হবে। এই ঘটনার সিসিকের পক্ষ থেকে তদন্ত কমিটি করে পূর্ণাঙ্গ ঘটনা জানা যাবে।
স্থানীয় ও পথচারীরা জানান, সিলেট নগরীর নয়াসড়কের মিনারটি ভাঙার সময় বুলডোজার দিয়ে চালক মিনারের উপরের অংশ আংশিক ভেঙে নিচের অংশ ভাঙতে শুরু করে। পরক্ষণে রাস্তার চলাচল মানুষের উপর ভেঙ্গে পরে মসজিদের মিনারটি। এতে প্রায় চারজন আহত হয়েছে। হঠাৎ মিনার ভাঙায় শতাধিক মানুষের প্রাণনাশের সম্ভাবনা ছিল অনেকটায়। কেননা মিনার ভাঙার সময় ওই স্থানে আগাম কোন জরুরি ঘোষণা দেওয়া হয়নি সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে। অথচ উন্মুক্তভাবে ওই রাস্তায় পথচারীরা যানবাহন চলাচল করে যাচ্ছিল।