ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের হিজলতলা এলাকায় প্লাস্টিক কারখানায় অগ্নিকান্ডের ঘটনায় আহত ৩২ জনের মধ্যে ১২ জন মারা গেছেন। বাকি ২০ জনের অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেলের বার্ণ ইউনিটের সমন্বয়ক অধ্যাপক ডা. সামন্ত লাল সেন।
তবে আহতদের সব ধরণের চিকিৎসার ব্যায়ভার সরকার থেকে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি ওই প্লাস্টিক কারখানার ভবন মালিককে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার ঢাকা মেডিকেলের বার্ণ ইউনিটে গিয়ে দেখা যায়, আগুনে পোড়া মানুষের হাহাকারে ভারী হয়ে উঠেছে ওয়ার্ড। ডা. সামন্ত লাল সেন জানান, আহত বাকি ২০ মধ্যে কারো কারো শরীরের ১০০ শতাংশ পর্যন্তও পুড়ে গেছে। কারো ৮০ এবং ৯০ শতাংশ পুড়েছে। কেউই শঙ্কামুক্ত নন।
ভয়াবহ এ অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত চিকিৎসাধীন সকল রোগীর চিকিৎসা ব্যয়ভার সরকারিভাবে বহন করার ঘোষণা দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ প্রসঙ্গে বলেছেন, অগ্নিদগ্ধ চিকিৎসাধীন সকল রোগীর শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক। চিকিৎসাধীন মোট ৩২ জন অগ্নিদগ্ধ মানুষের মধ্যে ইতোমধ্যেই ১২ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। বাকি ২০ জনের মধ্যে ১০ জনের প্রায় শতভাগ ক্ষতি হয়েছে। বাকীদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক মনে হচ্ছে। এক্ষেত্রে বেঁচে থাকা আহত ও অগ্নিদগ্ধ সকল রোগীর চিকিৎসা ব্যয় সরকারিভাবেই বহন করা হবে।
বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কেরাণীগঞ্জের প্লাস্টিক কারখানায় অগ্নিদগ্ধ আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
অগ্নিকান্ডে ভবন মালিকদের আইনের আওতায় আনা হবে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বেশিরভাগ ভবন মালিক সরকারি নির্দেশনা মেনে মিল কল-কারখানা নির্মাণ করেনি। এ বিষয়টি আর মেনে নেয়া হবে না। এই অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ আদায়ে ভবন মালিককে সরকারিভাবে চাপ প্রয়োগ করা হবে বলেও জানান তিনি।