পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন বলেছেন, বাংলাদেশের নাগরিক নয়, এমন কেউ যদি ভারত থেকে দেশে প্রবেশ করে, তবে তাদের ফিরিয়ে দেয়া হবে। ভারতে অবৈধভাবে যদি বাংলাদেশিরা থাকেন তাদের তালিকা চাওয়া হবে।
রোববার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ভারতের সঙ্গে তুলনায় আমাদের অর্থনৈতিক অবস্থা সুবিধাজনক অবস্থানে। কিছু লোক খাবারের আশায় ফড়িয়াদের মাধ্যমে অনুপ্রবেশ করছে। ভারত কাউকে পুশইন করছে না।
ড. মোমেন বলেন, ‘এনআরসি ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত রিভা গাঙ্গুলী দাশের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তিনি আমাকে বলেছেন, বাংলাদেশের ক্ষতি হবে- এমন কোনো কিছু ভারত করবে না।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ভারত সফর বাতিল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু সরকারের সময়ে একটি অলিখিত আইন ছিল মন্ত্রী বিদেশ থাকলে সচিব থাকবেন স্বদেশে, সচিব বিদেশ থাকলে মন্ত্রী দেশে থাকবেন। আমি তো ওই সরকারে কাজ করেছি। আমার পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও সচিব বিদেশ আছেন। এছাড়া এই সময়টা আমাদের খুব গর্বের। গৌরবের এ মাসে একাধিক অনুষ্ঠান।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক স্বাভাবিক। এ সম্পর্ক প্রভাবিত হবে না। এ সম্পর্ক মধুর।’
রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়ার ব্যাপারে মিয়ানমারের পদক্ষেপ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালতে (আইসিজে) রোহিঙ্গা গণহত্যা নিয়ে শুনানির পর মিয়ানমারের সুর নরম হয়েছে। আমাকে দেশটি সফরে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আমি বলেছি, বাংলাদেশে এসে রোহিঙ্গা যাচাই-বাছাই করতে। আমাদের সেনাপ্রধান মিয়ানমার গিয়েছিলেন, তার যাওয়ায় আলোচনার দ্বার আরও উন্মুক্ত হয়েছে।