ব্রেক্সিট ইস্যুতে সংসদে ভোটাভুটির আয়োজন করে জয় পেয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।
সংসদের নিম্নকক্ষ হাউস অব কমন্সে শুক্রবার প্রধানমন্ত্রীর তোলা ‘দ্য ইইউ’ (উইথড্রয়ল এগ্রিমেন্ট) বিল ৩৫৮ ভোট পেয়ে পাস হয়। এর ফলে আগামী ৩১ জানুয়ারির মধ্যেই ব্রেক্সিট (ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাওয়া) কার্যকরের পথ সুগম হল।
বিরোধী লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিনসহ অন্যরা বিলটির বিরোধিতা করেন। সংসদে এই বিলের বিপক্ষে পড়ে ২৩৪টি ভোট। কিন্তু ব্রিটিশ সংসদে বরিসের কনজারভেটিভ পার্টি সংখ্যাগরিষ্ঠ হওয়ায় বিল পাস আটকে থাকেনি। নিম্নকক্ষে বিলটি পাসের পর এর খুঁটিনাটি নিয়ে আরও বিতর্ক হবে। আগামী ৭-৯ জানুয়ারি এর তারিখ রয়েছে। বিলটি উচ্চকক্ষ হাউস অব লর্ডসে পাস হলে আইনে পরিণত হবে ৩১ জানুয়ারির মধ্যেই।
ব্রিটেনে সর্বশেষ সাধারণ নির্বাচনের পর বৃহস্পতিবার প্রথম নিম্নকক্ষ হাউস অব কমন্সে অধিবেশনে বসেন সংসদ সদস্যরা। এদিন নতুন স্পিকার হিসাবে লিন্ডসে হোয়েলকে নির্বাচিত করেন।
এর পরই শুক্রবার ব্রেক্সিট ইস্যুতে বিলটি উত্থাপন করেন বরিস জনসন। তিনি বলেন, যেকোনো মূল্যে নির্ধারিত ৩১ জানুয়ারির মধ্যে ব্রেক্সিট কার্যকর করতেই এই উদ্যোগ।
এদিন সংসদে বিলটির ওপর প্রথমে বিতর্ক হয়। এরপর সংসদ সদস্যরা বিলের সাধারণ নীতির ওপর ভোট দেন। বিলে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে বের হওয়ার অন্তর্বর্তী সময় না বাড়ানোর বিষয়টিও উল্লেখ করা হয়েছে।
সরকারের দাবি, অন্তর্বর্তী সময়ের বিষয়টি বিলোপ করলেই ব্রিটেন একটি অবস্থানে চলে আসবে। অপরদিকে বিরোধীদের অভিযোগ, যুক্তরাজ্যের ভবিষ্যৎ কী হবে বিলে সেটি স্পষ্ট করে তুলে ধরা হয়নি। তারা বলছেন, ইইউর সঙ্গে চুক্তিতে পৌঁছাতে সময় লেগে যেতে পারে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ব্রিটেন ও ইইউ কোনো মুক্ত বাণিজ্য চুক্তিতে পৌঁছাতে না পারলে চুক্তিবিহীন ব্রেক্সিটের সম্ভাবনা আবারও জেগে উঠবে। এ ধরনের পরিস্থিতি হতে পারে বিবেচনা করে আর্থিক বাজার ইতিমধ্যেই সতর্ক হয়ে উঠেছে এবং প্রধান প্রধান মুদ্রার বিনিময়ে পাউন্ডের মূল্য কমেছে।