logo
আপডেট : 23 December, 2019 18:54
ফ্লোরিডায় বাংলাদেশের কনস্যুলেট স্থাপন হচ্ছে
ঢাকা অফিস

ফ্লোরিডায় বাংলাদেশের কনস্যুলেট স্থাপন হচ্ছে

মন্ত্রিসভা বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সদস্যরা, ছবি: প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং

যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যে বাংলাদেশের নতুন একটি কনস্যুলেট জেনারেল স্থাপনের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, কূটনৈতিক স্বার্থ বিবেচনায় যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন অংশীদার। এ জন্য ফ্লোরিডায় একটি কনস্যুলেট জেনারেল স্থাপন প্রয়োজন।

বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের তিনটি কূটনৈতিক মিশন রয়েছে। এগুলো ওয়াশিংটন ডিসি, নিউইয়র্ক এবং লস এঞ্জেলেসে অবস্থিত।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বিশাল আয়তনের দেশ যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি অঙ্গরাজ্যে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করা এবং সেখানে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের পর্যাপ্ত কনস্যুলার সেবা দেওয়া এই তিন মিশনের জন্য অত্যন্ত কঠিন ও সময়সাপেক্ষ। এতে করে প্রবাসী বাংলাদেশিদের সরকারের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী স্বল্পতম সময়ে সর্বোত্তম সেবা নিশ্চিত করা সম্ভব হয় না। এজন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই প্রস্তাব করেছে।

আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক গুরুত্ব বিবেচনায় যুক্তরাষ্ট্রের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গরাজ্য হলো ফ্লোরিডা। এখানে বর্তমানে ৪০ হাজারের বেশি প্রবাসী বাংলাদেশি বসবাস করেন। ওয়াশিংটন ডিসি থেকে ফ্লোরিডার দূরত্ব প্রায় এক হাজার ৫০০ কিলোমিটার। এই বিশাল দূরত্ব অতিক্রম করে ফ্লোরিডা থেকে ওয়াশিংটন ডিসেতে কনস্যুলার সেবা গ্রহণ করা প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য যথেষ্ট সময় ও ব্যয়সাপেক্ষ।

সচিব বলেন, ফ্লোরিডাতে বিশ্বের ৮১টি দেশের কনস্যুলেট রয়েছে। যার মধ্যে ৬১টি কনস্যুলেটই মায়ামি শহরে অবস্থিত। এ অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গরাজ্য ফ্লোরিডার মায়ামি শহরে বাংলাদেশের একটি কনস্যুলেট জেনারেল স্থাপন করা হলে, তা ফ্লোরিডাতে অবস্থিত প্রবাসী বাংলাদেশিদের স্বার্থ সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

ফ্লোরিডায় নতুন কনস্যুলেট জেনারেল প্রতিষ্ঠিত হলে বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক সম্পর্কে নতুন মাত্রা যোগ হবে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

এছাড়া ‘বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড আইন-২০১৯’ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, বঙ্গবন্ধু প্রথমে ১৯৭২ সালে মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড আইন করেছিলেন। এরপর বিশেষ প্রেক্ষাপটে ‘দ্য মাদরাসা এডুকেশন অর্ডিন্যান্স-১৯৭৮’ করা হয়। এর বলে বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের সার্বিক পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রিত হয়। মাদরাসা শিক্ষা বিকাশে ৪১ বছরে পুরনো ও ইংরেজিতে লিখিত আইনটি সময়েল চাহিদা পূরণে যথেষ্ট নয়। এছাড়া সামরিক শাসনামলে জারিকৃত অধ্যাদেশসমূহের বিষয়ে মন্ত্রিসভার নির্দেশনা রয়েছে।

প্রস্তাবিত আইনে মোট ৩০ ধারা সন্নিবেশিত রয়েছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, বিদ্যমান অধ্যাদেশে উল্লেখিত ‘বোর্ড’ শব্দের পরিবর্তে ‘পরিচালনা পর্ষদ’ প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। বোর্ডের সদস্য সংখ্যা ১৩ জনের পরিবর্তে ১৫ জন করা হয়েছে। বিদ্যমান অর্ডিন্যান্সে বোর্ডের কোনো সদস্য সচিব ছিল না। বর্তমানে খসড়া আইনে রেজিস্ট্রারকে সদস্য সচিব হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

পাঠক্রম, পাঠ্যসূচি ও পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন, উন্নয়ন, নবায়ন, নিরীক্ষণ এবং সংস্কার কার্যক্রমে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডকে বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড প্রয়োজনীয় সহায়তা করবে বলে নতুন ধারা সংযোজন করা হয়েছে।