বাগেরহাটের রামপাল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. দেলোয়ার হোসেন খানের প্রচেষ্টায় একটি সংখ্যালঘু পরিবার তাদের পৈত্রিক ভিটা ফেরত পেতে যাচ্ছে।
দীর্ঘদিন ধরে তারই পৈত্রিক ভিটায় ওই এলাকার এক প্রভাবশালী ব্যক্তি জোরপূর্বক দখল করে রেখেছিল। পৈত্রিক জমি ফেরত পেতে এলাকার জনপ্রতিনিধিসহ প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে বছরের পর বছর দৌড়ঝাঁপ করেন জমির মালিক কুমারেশ বিশ্বাস। কোনো ফায়দা হয়নি তার। অবশেষে রামপালে সদ্য নিযুক্ত ওসির শরনাপন্ন হন কুমারেশ।
ভুক্তভোগী এবং এলাকাবাসী জানায়, রামপালের চাঁদপুর গ্রামে হতদরিদ্র কুমারেশ বিশ্বাস স্থায়ীভাবে বসবাস করে আসছে। কিন্তু হঠাৎ করে তার জমি ভিপি তালিকাভুক্ত করা হয়। ২০১৩ সালে অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যার্পন আইন পাশ হলেও কুমারেশ বিশ্বাস জমি ফেরত পায়নি।
ওই এলাকার প্রভাবশালী আমজাদ হোসেন জোরপূর্বক ওই জমিতে ঘর তৈরী করে। বিষয়টি নিয়ে কুমারেশ বিশ্বাস বিভিন্ন মহলে অভিযোগ দেয় এবং সাংবাদিক সম্মেলন করে।
ঘটনাটি রামপাল থানার ওসির দৃষ্টিগোচর হয় এবং তিনি গত ২৯ নভেম্বর উভয়পক্ষের আইনজীবীকে নিয়ে কাগজপত্রের চুলচেরা বিশ্লেষন করেন। তিনি সিদ্ধান্ত দেন আমজাদ হোসেন ডিসিআর ব্যাতীত কোন অবস্থাতেই ভিপি জমি ভোগদখল করতে পারবে না। ২৫ ডিসেম্বর ওসির নির্দেশ মোতাবেক আমজাদ হোসেন এর প্রাপ্য ১৬ শতাংশ জমি সার্ভেয়ার দিয়ে মেপে সীমানা নির্ধারন করে দেন ফয়লাহাট পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ লুৎফর রহমান। ফলে দীর্ঘ কয়েক বছরের বিবাদ অবসান হয়েছে।
এমন সৎ, দক্ষ ও জনবান্ধব পুলিশ অফিসারের কার্যক্রমে এলাকায় আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। মানুষ পুলিশের কাছে গিয়ে ভোগান্তি এড়িয়ে তাদের কাংখিত সেবা পাবে এমনটাই আশা সকলের।