দেশের সমুদ্রসীমায় মিথেন গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনাকে সামনে রেখে গ্যাসসম্পদ অনুসন্ধান করতে একটি ব্রিটিশ কোম্পানিকে দায়িত্ব দিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিট।
এছাড়াও বঙ্গোপসাগরে মেরিন জেনেটিক রিসোর্সের বাণিজ্যিক ব্যবহারের জন্য ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানকে সহায়তা দিতে কাজ করছে নেদাল্যান্ডের সহযোগিতায় একটি দল।
পাশাপাশি চলতি বছরের মধ্যে বাংলাদেশের মহীসোপান (কন্টিনেন্টাল সেলফ) নির্ধারণের জন্য জাতিসংঘে জমা দেওয়া ২০১১ সালের প্রস্তাবের সঙ্গে আরও কিছু উপাদান যুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এ বিষয়ে মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিটের সচিব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সাংবাদিকদের বলেন, এটি চলমান প্রক্রিয়ার অংশ, কিন্তু কার্যক্রমগুলো মুজিববর্ষের সঙ্গে মিলে গেছে। গ্যাসসম্পদ অনুসন্ধানের বিষয়ে তিনি বলেন, বঙ্গোপসাগরের গোদাবরি এলাকা, যা ভারতের সুমদ্র সীমানায় পড়েছে। সেখানে জমাট বাঁধা মিথেন গ্যাস পাওয়া গেছে। আমরা ধারণা করছি, আমাদের সুমদ্র অঞ্চলেও একই ধরনের মিথেন গ্যাস পাওয়া যাবে।
ইতোমধ্যে একটি ব্রিটিশ কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি হয়েছে এবং তারা কাজও শুরু করেছে বলে তিনি জানান।
খোরশেদ আলম জানান, ওই কোম্পানি সমুদ্রে সরাসরি অনুসন্ধান চালাবে না। বাংলাদেশের কাছে যে তথ্য-উপাত্ত আছে তা বিশ্লেষণ করে তাদের রিপোর্ট দেবে।
এছাড়া, ‘বাংলাদেশ সুমদ্র অঞ্চল আইন’ ইতোমধ্যে কেবিনেটে অনুমোদন পেয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, আইন মন্ত্রণালয়ে যাচাই-বাছাইয়ের পর দ্রুততার সঙ্গে এটি সংসদে তোলা হবে।
প্রসঙ্গত, মিয়ানমার ও ভারতের সঙ্গে সুমদ্রসীমা সংক্রান্ত বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য ২০০৯ সালে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা করার আগে বাংলাদেশ বঙ্গোসাগরের একটি বিস্তারিত জরিপ চালিয়ে সমুদ্র বিষয়ে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে।