কেনিয়ায় মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে সোমালিয়ার আল-শাবাব গোষ্ঠীর হামলায় তিন আমেরিকান নিহত হয়েছেন।
রোববারের ওই হামলায় নিহতরা হলেন, দেশটির সামরিক বাহিনীর এক সদস্য ও দুই ঠিকাদার। যুক্তরাষ্ট্র ও কেনিয়ার বাহিনী ওই ঘাঁটিটি ব্যবহার করে আসছে।
এই হত্যাকাণ্ডের কথা নিশ্চিত করেছে মার্কিন সেনাবাহিনীর আফ্রিকান কমান্ড। তারা জানিয়েছে, সোমালিয়া সীমান্তে কেনিয়ার লামু কাউন্টির মান্দা বে ঘাঁটিতে ওই হামলায় আরও দুই আমেরিকান আহত হয়েছেন।
এক বিবৃতিতে আফ্রিকান কমান্ড জানায়, আহত আমেরিকানদের অবস্থা স্থিতিশীল। তাদের ওই ঘাঁটি থেকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
শুক্রবার মার্কিন হামলায় ইরানি কমান্ডার কাসেম সোলাইমানি নিহত হওয়ার পর উদ্ভূত পরিস্থিতির পর আল-শাবাবের এই হামলা পেন্টাগনকে নতুন সংকটে ফেলে দিয়েছে।
সোমালি সরকারের পতন ঘটাতে গত এক দশক ধরে লড়াই করে আসছে আল-শাবাব। প্রত্যক্ষদর্শী ও সামরিক সূত্র জানিয়েছে, রোববার ভোরের ওই হামলা প্রায় চারঘণ্টা স্থায়ী হয়েছিল।
রয়টার্সের দেখা কেনীয় পুলিশের এক প্রতিবেদন বলছে, হামলা চালিয়ে দুটি প্লেন, দুটি মার্কিন হেলিকপ্টার ও বেশ কয়েকটি সামরিক যান ধ্বংস করেছে আল-শাবাব।
কেনীয় সামরিক বাহিনী বলেছে, হামলায় আল-শাবাবের পাঁচ সদস্য নিহত হয়েছেন। তবে কেনীয়দের কেউ হতাহত হয়েছে কিনা, সে সম্পর্কে বিস্তারিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
শাবাব গোষ্ঠীর রোববারে দেয়া এক বিবৃতিতে দেখা গেছে, তারা সাতটি বিমান ও তিনটি সামরিক যান ধ্বংস করেছে।
আফ্রিকান কমান্ড জানিয়েছে, ঘাঁটিতে ১৫০ জনের কম মার্কিন সেনা রয়েছে। পূর্ব আফ্রিকান বাহিনীকে তারা সামরিক প্রশিক্ষণ দিচ্ছে।
মার্কিন আর্মি জেনারেল স্টিফেন টাউনসেন্ড বলেন, আমাদের আফ্রিকান ও আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সঙ্গে মিলে হামলায় দায়ীদের তাড়া দেব।
আল শাবাব বলছে, ‘আল-কুদস (জেরুজালেম) কখনোই ইহুদিবাদে রূপান্তরিত হবে না’– প্রচারের অংশ হিসেবে তারা এই হামলা চালিয়েছে।
গত বছরের জানুয়ারিতে নাইরোবির অভিজাত ডুস্টি হোটেল কমপ্লেক্সে হামলার সময় প্রথম তারা এই পরিভাষাটি ব্যবহার করেন। ওই হামলায় ২১ জন নিহত হয়েছিলেন।
২০১১ সালে সোমালিয়ায় সেনা পাঠানোর প্রতিশোধ নিতে কেনিয়ায় বেশ কয়েকটি বড় ধরনের হামলা চালিয়েছে আল-শাবাব।