আন্তর্জাতিক ডেস্ক: জেনারেল কাসেম সোলেমানি হত্যার প্রতিশোধ নিতে ইরাকের দুইটি মার্কিন বিমানঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে কুদস বাহিনীর প্রধান জেনারেল সোলেমানিকে হত্যার তিন দিন পর ইরান এই হামলা চালালো। ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভির খবরে এই হামলার কথা স্বীকার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সিএনএন ও বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, ইরাকে কমপক্ষে দুইটি মার্কিন বিমানঘাঁটিতে অসংখ্য মিসাইল হামলা হয়েছে। মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগনের মুখপাত্র জনাথন হফম্যান এক বিবৃতিতে বলেছেন, ইরাকের এরবিল ও আল-আসাদ বিমানঘাঁটিতে হামলা হয়েছে। এর প্রাথমিক ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে আমরা কাজ করছি।
অপর এক বিবৃতিতে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র স্টেফানি গ্রিশাম বলেন, ইরাকে মার্কিন স্থাপনায় হামলার বিষয়ে আমরা অবগত আছি। ইতোমধ্যেই প্রেসিডেন্টকে এ বিষয়টি জানানো হয়েছে। তিনি জাতীয় নিরাপত্তা টিমের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করছেন ও পরামর্শ দিচ্ছেন।
এদিকে, ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (আইআরজিসি) বুধবার (৮ জানুয়ারি) ভোররাতে দেওয়া এক বিবৃতিতে ইরাকে অবস্থিত মার্কিন সামরিক ঘাঁটি এইন আল-আসাদের ওপর ক্ষেপণাস্ত্র হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। কাসেম সোলেমানির ওপর মার্কিন সেনাদের হামলার জবাব দিতেই এ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছে তারা।
আইআরজিসি বলেছে, এ অভিযানটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘শহীদ সোলেমানি’।
বিবৃতিতে যেসব দেশ যুক্তরাষ্ট্রকে ঘাঁটি ব্যবহার করতে দিয়েছে তাদের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, যে দেশ থেকে ইরানের ওপর হামলা চালানো হবে, সেই দেশকে শত্রু দেশ হিসেবে চিহ্নিত করে তাদের ওপরও হামলা চালানো হবে।
তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গতকাল বলেছেন, এ ধরনের হামলা যুক্তরাষ্ট্র মেনে নেবে না। উপযুক্ত জবাব দিতে আমরা প্রস্তুত।