কোনো ধরনের পূর্ব শর্ত ছাড়াই ইরানের সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। জাতিসংঘে দেওয়া এক চিঠিতে এ কথা জানিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন।
একইসঙ্গে চিঠিতে ইরানি শীর্ষ জেনারেল কাসেম সোলেমানিকে হত্যার যুক্তিও তুলে ধরেছে দেশটি। বলছে, নিজেদের রক্ষা করার জন্যই এ কাজ করা হয়েছে।
সোলেমানি হত্যার জবাবে মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) ইরাকে মার্কিন দুই সামরিক ঘাঁটিতে একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। যদিও এতে মার্কিন সৈন্যদের কোনো ক্ষতি হয়নি বলে দাবি ওয়াশিংটনের। কিন্তু ইরান বলছে, হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের ৮০ সৈন্য নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ২০০ জন। তাদের ইসরায়েলের তেলআবিবের হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এদিকে, ইরানও জাতিসংঘে বলেছে, নিজেদের রক্ষার জন্যই এ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে দেওয়া চিঠিতে সংস্থাটির মার্কিন রাষ্ট্রদূত কেলি ক্র্যাফট বলেছেন, ইরানের দ্বারা আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা যাতে হুমকির মুখে না পড়ে এবং উত্তেজনা যাতে বৃদ্ধি না পায়, সেজন্য যুক্তরাষ্ট্র আলোচনা করতে প্রস্তুত আছে। তবে চিঠিতে সোলেমানি হত্যাকাণ্ড সঠিক পদক্ষেপ ছিল উল্লেখ করা হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, মধ্যপ্রাচ্যে নিজেদের সৈন্য এবং স্বার্থ রক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্র প্রয়োজন অনুযায়ী অতিরিক্ত ব্যবস্থা নেবে।
এদিকে, জাতিসংঘে ইরানের রাষ্ট্রদূত মাজিদ তখত রাভানচিও চিঠিতে জানিয়েছেন, ইরান কোনো যুদ্ধ কিংবা উত্তেজনা বাড়াতে চায় না। মার্কিন ঘাঁটিতে সুনির্দিষ্ট এবং যথাযথ সামরিক পদক্ষেপের মাধ্যমে ইরান আত্মরক্ষার চেষ্টা করেছে।