logo
আপডেট : 23 January, 2020 12:30
জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমার শুভেচ্ছা বিনিময়

জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমার শুভেচ্ছা বিনিময়

ষ্টাফ রিপোর্টার: জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে নতুন বছর ২০২০ সাল কে স্বাগত জানিয়ে স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে শুভেচ্ছা ও মতবিনিময় অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন জাতিসংঘে বাংলাদেশের নবনিযুক্ত স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা।

রাষ্ট্রদূত ফাতিমা উপস্থিত সাংবাদিকদের সাথে নতুন বছরের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন এবং পরিচিত হন। 

স্বাগত বক্তব্যে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে এবং বিচক্ষণ কূটনৈতিক প্রজ্ঞায় জাতিসংঘের সাথে বাংলাদেশ অত্যন্ত ঘনিষ্ট সম্পর্ক বজায় রেখে চলেছে। এই ঘনিষ্ট সম্পর্ক উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং বাংলাদেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোর আরও সাফল্যের সাথে জাতিসংঘে তুলে ধরতে স্থায়ী মিশন নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। 

তাঁর বক্তব্যে উঠে আসে ৭৪তম জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অংশগ্রহণ, রোহিঙ্গা ইস্যু, শান্তিরক্ষা কার্যক্রম, জাতিসংঘ নেতৃবৃন্দকে বাংলাদেশ বিষয়ে সচেতন রাখা, বিভিন্ন রেজুলেশনে সহযোগী ও সমন্বয়কের ভূমিকা পালন, নির্বাচনে বিজয়, শান্তির সংস্কৃতি রেজ্যুলেশন গ্রহল, জাতিসংঘের তহলবিল ও বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ, নিরাপত্তা পরিষদে সম্পৃক্ততা, একাত্তুরের গণহত্যার আন্তর্জাতিকীকরণ, জাতিসংঘে প্রথমবারের মতো শোক দিবস পালন, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন, গ্রুপ অব ফ্রেন্ডস্ প্লাটফর্মকে এগিয়ে নেওয়া ও কোমল কূটনীতিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ২০১৯ সালে জাতিসংঘে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ ও সফলতার বিভিন্ন দিক। 

এসকল অংশগ্রহণ ও অর্জিত সাফল্যের বিষয়গুলো সহজভাবে সারাবছর প্রবাসী বাঙালিসহ দেশের জনগণের মাঝে সংবাদের মাধ্যমে উপস্থাপনের জন্য সাংবাদিকবৃন্দকে ধন্যবাদ জানান স্থায়ী প্রতিনিধি।

যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতিসংঘে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী অর্থাৎ মুজিব বর্ষ উদযাপনের বিভিন্ন পরিকল্পনাসহ ২০২০-এ জাতিসংঘে বাংলাদেশের যে সকল বিষয় বিশেষভাবে গুরুত্ব পাবে এবং যেসকল চ্যালেঞ্জ রয়েছে সে সমন্ধে আলোকপাত করেন রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর জাতিসংঘের ৭৪তম সাধারণ পরিষদের উচ্চ পর্যায়ের সপ্তাহে অংশগ্রহণ বিষয়ে তিনি বলেন, বিগত বছরগুলোর মত প্রধানমন্ত্রীর এবারের অংশগ্রহণও ছিল অত্যন্ত সফল ও তাৎপর্যপূর্ণ। এবার প্রধানমন্ত্রী ১১টি উচ্চপদস্থ সভা এবং ৯টি বাইলেটারেল সভায় অংশ নেন। ওয়াশিংটন পোস্ট, ওয়াল স্ট্রীট জার্নাল ও ভয়েস অব আমেরিকাতেও সাক্ষাৎকার প্রদান করেন। স্থায়ী মিশন অত্যন্ত দক্ষতা ও সফলতার সাথে এসকল ইভেন্টের আয়োজন করেছে এবং সার্বিকভাবে প্রধানমন্ত্রীর এবারের নিউইয়র্ক সফর তত্ত্বাবধান করেছে। 

রোহিঙ্গা ইস্যুতে রাষ্ট্রদূত বলেন, ২০১৯ সালে মিশনের সর্বোচ্চ প্রাধিকারের জায়গা জুড়ে ছিল রোহিঙ্গা বিষয়টি। বছরজুড়ে স্থায়ী মিশন জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্র এবং জাতিসংঘ সদরদপ্তরসহ সমগ্র জাতিসংঘ ব্যবস্থার সাথে নিবিড়ভাবে সম্পৃক্ত থেকে রোহিঙ্গা ইস্যুটিকে আন্তর্জাতিকীকরণে সচেষ্ট ছিল। 

শুভেচ্ছা ও মতবিনিময় সভায় উপস্থিত সাংবাদিকরা রোহিঙ্গা ইস্যু, মুজিব বর্ষ উদযাপন, শান্তিরক্ষা কার্যক্রম ও এসডিজি বাস্তবায়নসহ জাতিসংঘে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে প্রশ্ন করেন।