প্রধানমন্ত্রী ‘শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজের ১৫ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষসহ আটজনকে তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
প্রতিষ্ঠানটির নথিপত্র ও মালামালে ব্যাপক অনিয়ম করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে আগামী রোববার ও সোমবার দু'দিন ব্যাপী অভিযুক্তদের এক এক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারী) রাতে দুদকের হবিগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের প্রধান উপ-পরিচালক শামসুল আলমকে প্রধান করে একটি তদন্ত টিম গঠন করে।
অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন- প্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ডা. আবু সুফিয়ান, হবিগঞ্জ পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক ডা. নাসিমা খানম ইভা, সদস্য ডা. জাহাঙ্গীর, ডা. শাহীন ভূঁইয়া, ডা. প্রাণকৃষ্ণ, ডা. পংকজ কান্তি গোস্বামী, ডা. হালিমা ও ডা. কদ্দুছ।
জানা যায়, ২০১৭ থেকে ২০১৮ অর্থ বছরে হবিগঞ্জে শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজের ১৫ কোটি ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ আছে। এ থেকে ভ্যাট ও আয়কর খাতে সরকারি কোষাগারে জমা হয় ১ কোটি ৬১লাখ ৯৭৭৪৮টাকা। আর প্রতিষ্ঠানের নথিপত্র মালামাল ক্রয় বাবদ ব্যয় দেখানো হয় ১৩ কোটি ৮৭লাখ ৮১১০৯টাকা। অথচ বাস্তবে এই খাতে মালামাল সরঞ্জাম পণ্যের মূল্য পাঁচ কোটি টাকারও নয়। তাই অভিযোগ উঠেছে এই প্রতিষ্ঠানের বড় অঙ্কের টাকা ওরা একে অপরের মধ্যে হাতিয়ে নিয়েছেন বলে।
মেডিকেলের সরবরাহকৃত মালামালগুলোর মধ্যে রয়েছে - লেনেভো ল্যাপটপ ৬৭টি। যার মডেল ১১০ কোর আই ফাইভ। ওই গুলোর মূল্য হিসেবে অভিযুক্তরা দেখিয়েছেন ৯৯ লাখ ৪৯,৫০০ টাকা। যার প্রতিটি ল্যাপটপের মূল্য দাড়িয়েছে ১ লাখ ৪৮৫০০টাকা করে। অথচ এই একী মডেলের ল্যাপটপ বাজারে বিক্রি হচ্ছে মাত্র ৪২হাজার টাকায়। এছাড়া অন্যান্য মালামালেও অতিরিক্ত হিসেবে দেখিয়েছেন অভিযুক্তরা।
১০৬ হটলাইনে শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজে দুর্নীতির অভিযোগের পর প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশে ২০১৯সালের ৩ ডিসেম্বর প্রাথমিক তদন্তে মাঠে নামেন দুদক হবিগঞ্জ জেলা কার্যালয়।
পরবর্তিতে দুর্নীতির বিষয়ে তদন্তের অনুমতি চেয়ে প্রধান কার্যালয়ে আবেদন করেন। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে অনুমতি পেয়ে আবারও তদন্তে নেমে অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পত্র যোগে তলব করেন দুদক।
আগামীকাল রোববার থেকে এই অভিযুক্তদের দু'দিন ব্যাপী জিজ্ঞাসাবাদ হবে দুদক হবিগঞ্জ জেলা কার্যালয়ে।