প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের বিস্তার নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলেছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।
ট্রাম্পকে চীনা প্রেসিডেন্ট বলেন, আমরা নিশ্চিত, মহামারী আমরা রুখবোই। চীনের অর্থনীতিও থেমে থাকবে না।
করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়তে চীন ও আক্রান্ত অন্য দেশগুলোকে ১০ কোটি ডলার পর্যন্ত সাহায্যের প্রস্তাব দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।।
শি বলেন, এই পরিস্থিতিতে যে পদক্ষেপ নেবেন, আশা করি ভেবেই নেবেন। একাধিক রাষ্ট্র চীনের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে। তাদের সিদ্ধান্তকে ধিক্কার জানিয়ে ট্রাম্পকে যথাযোগ্য সিদ্ধান্ত নেয়ার আবেদন জানিয়েছেন তিনি।
চীনে শুক্রবারে ৮৬ জনের বেশি মারা গেছেন। যেটা এই ভাইরাসে একদিনে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানির ঘটনা। ২০০২-২০০৩ সালে সার্সে ৭৭৪জন মারা গিয়েছিলেন। কাজেই এই ভাইরাসে মৃত সেই সংখ্যার কাছাকাছি পৌঁছে গেছে।
এদিকে ভোঁদর ও বাদুড়ের পর এবার করোনাভাইরাস সংক্রমণে দায়ী করা হচ্ছে বিপন্ন প্রাণী বনরুইকে। চীনের একদল বিজ্ঞানী বলেন, এই ভাইরাসের আদি পোষক বাদুর হলেও মানুষের শরীরে বিস্তারে আরেকটি প্রাণীর ভূমিকা রয়েছে। আর সেটি হচ্ছে বনরুই।
গুয়াংজু প্রদেশের দক্ষিণ চায়না কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা বলছেন, ভাইরাসটির আরএনএ বিন্যাসের সঙ্গে বনরুইয়ের শরীরে পাওয়া করোনাভাইরাসের বিন্যাসের ৯৯ শতাংশ মিল পেয়েছেন। এ নিয়ে বিজ্ঞান সাময়িকী নেচারে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
প্রাণঘাতী করোনভাইরাসে এখন পর্যন্ত ৭২৪জন মারা গেছেন। আর আক্রান্ত হয়েছেন ৩৪ হাজারের বেশি।
বিশ্বে সবচেয়ে বেশি পাচার হওয়া প্রাণীদের একটি গায়ে আঁশযুক্ত একমাত্র স্তন্যপায়ী প্রাণী বনরুই। চীন ও ভিয়েতনামে কবিরাজি চিকিৎসায় পিঁপড়েখেকো এই প্রাণীর মাংস ও আঁশ ব্যবহার করা হয়।
ভাইরোলজির ভাষায় এ ধরনের পোষক প্রাণীকে বলা হয় মধ্যবর্তী বাহক। তবে চীনা বিজ্ঞানীদের গবেষণার এই ফল কতটা বিশ্বাসযোগ্য, সেই প্রশ্ন তুলেছেন যুক্তরাজ্যের বিজ্ঞানীরা। তাদের দাবি, নিশ্চিত করে বলার আগে এ নিয়ে বিস্তর গবেষণা প্রয়োজন।